চুকনগর প্রতিনিধিঃ ডুমুরিয়ায় স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ৮ মাস পর স্বামীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার ভোরে উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের একটি মৎস্য ঘেরের পাশের কৃষ্ণচূড়া গাছের ডাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই যুবকের নাম ইলিয়াস আলী শেখ। তিনি উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকার রেজাউল শেখের ছেলে।
ইলিয়াস শেখের দাদা আব্দুল আজিজ শেখ ও পিতা রেজাউল শেখ জানায়, ২০১৯ সালে ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়নের গোলনা গ্রামের মাছুমা বেগমের সাথে ইলিয়াস শেখের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের ১ বছরের মাথায় তাদের ঘর আলোকিত করে সামিউল শেখ নামে এক পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সামিউলের বয়স এখন ২ বছর। হঠাৎ করে জমিজমার মামলায় ইলিয়াস শেখ কারাগারে যায়। অভাবের সংসারে সৃষ্টি হয় অশান্তি। পুত্রবধু ও শাশুড়ীর মাঝে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। শিশু সামিউলকে নিয়ে মাছুমা বেগম হতাশাগ্রস্ত হয়ে সেই সময় মাছুমা বেগম ঋতু নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্নহত্যা করে।
এঘটনায় মাছুমার পিতা মামলা করতে না চাইলেও মামা আসগর আলী বাদী হয়ে ইলিয়াসের মাতা রিজিয়া বেগম ও পিতা রেজাউল শেখসহ ৪ জনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় ইলিয়াসের মাতা ২৬ দিন জেল হাজতে ছিলেন। এ মামলা মোকাবেলা করতে তাদের ২ বিঘা জমি বিক্রি করতে হয়েছে (দাদা আব্দুল আজিজ শেখ জানায়)। এরপর ইলিয়াস শেখ কারাগার থেকে বেরিয়ে সে স্ত্রীর মৃত্যু ও জমি বিক্রি ইত্যাদি বিষয় জানতে পেরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। তারই জের ধরে তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে পিতামাতার শোকে অবুঝ শিশু সামিউলের কান্নার শব্দে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠছে।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বলেন, এ ঘটনায় নিহতের চাচা আতাউর রহমান শেখ বাদি হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে এবং ইলিয়াসের সুরোতহাল রির্পোট শেষে সোমবার আসর বাদ পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
(1)