জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় এবার ১৮২ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উৎযাপিত হবে। ইতোমধ্যে মন্ডপগুলোর প্রতিমায় ভাস্কররা শেষ তুলির আচঁড় টানছেন। হিন্দুধর্মালম্বিদের বৃহৎ এই উৎসব পালনে সরকার থেকে প্রতি মন্ডপে ৫শ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে ডুমুরিয়া থানা পুলিশ ডুমুরিয়ার সকল মন্ডপকেই ঝুকিপূর্ণ ধরে নিয়েই তাদের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছেন। আগামী ১৯ অক্টোবর সোমবার ৬ষ্ঠী পালনের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। শেষ হবে ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার।
জানা যায়, জেলার সবচেয়ে বড় উপজেলায় সর্বাধিক ১৮২ মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরমধ্যে ডুমুরিয়ার খর্ণিয়া স্কুল পূজা মন্দির, গুটুদিয়া পশ্চিম পাড়া পূজা মন্দির, কুলটি সার্বজনীন পূজা মন্দির, চুকনগর বাজার পূজামন্দির উল্লেখযোগ্য। ইতোমধ্যে অনেক মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। আবার কোন কোন মন্ডপে ভাস্কররা শেষ মূহূর্তে রং তুলির আঁচড় টানছেন।
মন্ডপগুলোতে যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পূজা উদযাপিত হতে পারে সেদিক বিবেচনা করে প্রতিটি মন্ডপে ৫০০ কেজি কওে চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সে হিসেবে ১৮০টি মন্ডপে ৯০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের জানান, ডুমুরিয়া উপজেলার ১৮২টি মন্ডপের মধ্যে ২টি মন্ডপে
ডুমুরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম. মশিউর রহমান জানান, ডুমুরিয়ার সকল পুজামন্ডপকে ঝুকিঁপূর্ণ বিবেচনা করেই পুলিশ সম্ভাব্য নাশকতা এড়াতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যে কোন মন্ডপেই নাশকতামূলক ঘটনা ঘটতে পারে। মন্ডপগুলোর নিরাপত্তায় ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জনবল চাওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও ডুমুরিয়ায় টহল দিবে বলে তিনি জানান।
এদিকে আজ শনিবার ডুমুরিয়ার শহীদ জোবায়েদ আলী মিলনায়তনে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শিক্ষাবিদ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
-আব্দুল লতিফ মোড়ল, ডুমুরিয়া, খুলনা
(1)