উপজেলার ৫৬ নং নেহালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মাজেদ শেখ এর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে দপ্তরী নিয়োগকালে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগ প্রদানের জন্য ঘুষখোর আব্দুল মাজেদ শেখ এলাকার দরিদ্র যুবক শেখ বিল্লাল হোসেন এর পিতা শেখ হায়দার আলীর কাছ থেকে এই ঘুষ গ্রহন করে। বর্তমানে শেখ আব্দুল মাজেদ ভুক্তভোগী বিল্লালের চাকুরি প্রদান বা টাকা ফেরৎ না দিয়ে উল্টো প্রশাসন দিয়ে হয়রানী করার হুমকি দিচ্ছে বলে- বিল্লাল হোসেন অভিযোগ করেছেন।
তালার জেঠুয়া গ্রামের মো. হায়দার আলী শেখ এর পুত্র বিল্লাল শেখ জানান, নেহালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলে তিনি আবেদন করেন। এসময় নিয়োগ দেবার কথা বলে বিদ্যালয়ের সভাপতি নেহালপুর গ্রামের মৃত. শেখের আলী’র পুত্র আব্দুল মাজেদ শেখ বিল্লালের পিতার নিকট ৪ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবী করে। উক্ত টাকা দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সরকারি কর্তাদের ম্যানেজ করতে হবে আর টাকা না দিলে চাকুরি হবে না বলে- মাজেদ জানায়।
এতে বাধ্য হয়ে বিল্লালের দরিদ্র ও অসুস্থ্য পিতা হায়দার আলী তার জমি ও অন্যান্য সম্পদ বিক্রয় করে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়োগ পরীক্ষার পূর্বেই মাজেদ শেখকে প্রদান করেন। এই টাকা মাজেদ শেখ একাধিক স্বাক্ষীদের সন্মুখে ২ দফায় গ্রহন করে। কিন্তু মহামান্য উচ্চ আদালত একটি রীট মামলার রায়ে সারাদেশে উক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করেন।
যে কারনে নেহালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। বিল্লাল হোসেন আরও জানান, নিয়োগ বন্ধ হবার পর জানতে পারি যে ধুরন্তর মাজেদ শেখ ওই বিদ্যালয়ে মাত্র ১টি পদের জন্য একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ে ফের চাকুরি প্রক্রিয়া শুরু হলে আমাকে (বিল্লাল) চাকুরি না দিয়ে আরও বেশি টাকা নেওয়া অন্য এক ব্যক্তিকে চাকুরি দিবে। যে কারনে আমরা মাজেদের নিকট ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ফেরৎ চাইলে সে নানান তালবাহান শুরু করে। বর্তমানে সে আমাদের টাকা ফেরৎ দেবেনা বলে আস্ফালন করছে এবং টাকা চাইলে তার পুত্র নৌবাহিনীতে চাকুরিরত লিটন শেখকে দিয়ে আমাদের শায়েস্তা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
এঘটনায় বিল্লালের প্রতিবন্ধি পিতা হায়দার আলী স্থানীয় কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে দীর্ঘ তদন্তে মাজেদ শেখ এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহন, চাকুরি বা টাকা ফেরৎ না দেওয়ার বিষয়টি প্রমানিত হয়েছে মর্মে পুলিশিং ফোরাম রায় দিয়েছে। এছাড়া রায়ে অবিলম্বে টাকা ফেরত দেবার জন্য মাজেদ শেখকে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের নির্দেশ না মেনে প্রতারক মাজেদ শেখ বর্তমানে বিল্লাল সহ তার পিতা এবং টাকা প্রদানের ঘটনার স্বাক্ষীদের প্রশাসন দিয়ে হয়রানী করার জন্য থানায় মিথ্যা জিডি করেছে। এসব ঘটনায় দরিদ্র বিল্লাল শেখ উর্দ্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
-বি. এম. জুলফিকার রায়হান, তালা, সাতক্ষীরা
(48)