তালা প্রতিনিধিঃ তালার খেশরা ইউনিয়ন পরিষদ মোড় থেকে শালিখা বাজার ভায়া দক্ষিন শাহজাতপুর বাজার এবং কেএসডি বালিকা বিদ্যালয় পর্যন্ত নির্মানাধিন সড়কটির কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এই রাস্তাটির নির্মান শেষ হলে অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ স্থায়ী ভাবে সুফল পাবে। এছাড়া সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে। এই সড়কটির দীর্ঘ করুন দশার কারনে এলাকার মানুষদের নাজেহাল হবার শেষ ছিলনা। অসুস্থ্য ব্যক্তিদের উন্নত চিকিৎসা গ্রহন বা যানবাহন নিয়ে এলাকায় যাতযায়াত করতে গেলে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে গ্রামবাসীর। তাছাড়া বর্ষা মৌসুমে এলাকার মানুষদের হয়রানীর শেষ থাকতো না!
সূত্রে জানাযায়, অনলাইন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় তালার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান- মেসার্স বসু ট্রেডার্স রাস্তাটির ঠিকাদার নির্বচিত হন। কার্যাদেশ পেয়ে সড়টির নির্মান কাজ শুরু করার পর ইতোমধ্যে সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কটির প্রায় ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে কার্পেটিং এর কাজ। এলজিইডি’র অধিনে তালার প্রত্যন্ত খেশরা ইউনিয়নে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হচ্ছে সড়কটি। সড়কের নির্মান কাজে গতী থাকায় আশার আলো দেখছে গ্রামবাসী।
উপজেলার দক্ষীন শাহজাতপুর গ্রামের শাহবুদ্দিন মোড়ল জানান, জন্মলগ্ন থেকে এ রাস্তাটির বেহাল দশার কারনে আমাদের ভোগান্তির শেষ ছিলনা। বর্তমান সড়কটি নির্মান হওয়ায় আমদের মনে আশার সঞ্চার হচ্ছে।
খেশরা গ্রামের কামাল মোড়ল জানান, এখানে রাস্তার কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে এটায় আমদের বড় পাওয়া। এখানে পিচের রাস্তা হবে এটা আমরা কল্পনাও করিনি।
এব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বসু ট্রেডার্স এর স্বত্তাধিকারী কল্যান বসু জানান, তালা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দুরে অজোপাড়া গায়ে অবস্থিত সড়টির নির্মান কাজের প্রায় ৭৫শতাংশ কাজ শেষ করে ফেলেছি। বাকি কাজ অতিদ্রুত শেষ করে দিবো। এখানে কাজ করতে যেয়ে হাজারো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান রাজীব হোসেন রাজু বলেন, রাস্তাটি নির্মানে স্থানীয় হাজারও মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। কিছু দিন আগে এখানকার কিছু ইট নিয়ে কথা উঠলেও আমি সরেজমিনে যেয়ে দেখি ইটের রং একটু খারাপ থাকলেও ইটের স্ট্রেন্থ বা পোড় ভালো ছিলো। তারপরও স্থানীয় লোকজনের আপত্তির কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সে ইঠগুলো অপসারণ করে নতুন ইট এনে কাজ বাস্তবায়ন করছেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রথীন্দ্র নাথ হালদার জানান, গ্রামরে ভিতর সড়কাটি নির্মান কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সড়টির নির্মান কাজ শেষ হলে অত্র এলাকার তথা খেশরা ইউনিয়নের হাজারো মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে। তাছাড়া অত্র এলাকার মানুষ তাদের কৃষিজাত পণ্য অতি সহজে বাজারজাত করতে পারবে।
(8)