তালা প্রতিনিধিঃ তালার গঙ্গারামপুর গ্রামে ১সন্তানের জননী ও তার শিশু সন্তানকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষন করার ঘটনায় তালা থানায় মামলা দায়ের হয়। ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধু বাদী হয়ে তালা থানায় ধর্ষক খালেক সানার বিরুদ্ধে গত ১৬ নভেম্বর ধর্ষন মামলা (১২/২২) দায়ের করেন। মামলার পরপরই লম্পট খালেক সানা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে সে আত্মগোপনে রয়েছে। এদিকে, এই মামলা তুলে নিতে রম্পট খালেক সানার বাড়ির লোকজন প্রতিনিয়ত নির্যাতিত পরিবারের সদস্যদের হুমকি সহ হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
উপজেলার গঙ্গারামপুর নির্যাতিত গৃহবধুর স্বামী জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুরে একটি ইট ভাটায় কাজ করেন। বাড়িতে তার স্ত্রী (১৯) ১বছরের শিশু সন্তানকে নিয়ে থাকে। এই সুযোগে একই গ্রামের এরফান সানার ছেলে লম্পট খালেক সানা প্রতিনিয়ত গৃহবধুকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। এক পর্যায়ে তাতে রাজি না হওয়ায় খালেক সানা তাকে হুমকি প্রদান করে। গত ১৬ নভেম্বর রাত ২টার দিকে খালেক সানা গৃহবধুর ঘরের চাচের ভাঙ্গা বেড়া দিয়ে কৌশলে ঘরের মধ্যে ঢুকে গৃহবধু ও তার শিশু সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে খুন করার হুমকি দিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষন শেষে লম্পট খালেক সানা চলে যাবার সময় গৃহবধুর ডাক চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে খালেককে ধাওয়া করলেও সে পালিয়ে যায়। ঘটনার দিন সকালে নির্যাতিত গৃহবধু সহ পরিবারের লোকজন খলিলনগর পুলিশ ক্যাম্প হয়ে তালা থানায় এসে লম্পট খালেক সানার বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা দায়ের করে।
গৃহবধুর স্বামী আরও জানান, ঘটনার পর থেকে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি ধর্ষন চেষ্টার ঘটনা ধামাচাঁপা দিয়ে ক্যাম্পে চুরি সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করায়। কিন্তু খলিলনগর পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা গৃহবধুর কাছ থেকে ঘটনা শুনে তৎক্ষনাত তালা থানায় প্রেরন করেন এবং ধর্ষন মামলা করার পরামর্শ দিলে তালা থানায় ধর্ষন মামলা করা হয়। এরপর থেকে ধর্ষক খালেক সানার ভাই কামাল সানা, মজিদ সানা, শুকুর সানা সহ খালেকের স্ত্রী শেফালী বেগম মামলা তুলে নিতে নির্যাতিত গৃহবধু সহ তার বাড়ির লোকদের হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে। এমনকি গত বৃহস্পতিবার সকালে তারা গৃহবধুর বাড়িতে যেয়ে হামলা করে।
এছাড়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রকাশ দালাল সহ কতিপয় তথাকথিত নেতা এই মামলা সালিসের মাধ্যমে মিটিয়ে নেবার জন্য প্রলোভন দেখানো সহ চাঁপ প্রয়োগ করছে। তবে, ইউপি সদস্য সালিস করার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সালিস করার কথা বলিনি। বরং ক্যাম্পে ও থানায় মামলা করতে সহযোগীতা করেছি। যদিও ইউপি সদস্য’র সালিসী’র মাধ্যমে ঘটনা মিমাংসা করা সংক্রান্ত কথোপকোথন রেকডিং এপ্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। মামলা তুলে নিতে হামলা ও হুমকি প্রদানের ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধুর স্বামী শনিবার রাতে তালা থানায় একটি জিডি (৭৮৪) করেছেন।
এব্যপারে তালা থানার ওসি চৌধুরী রেজাউল করিম বলেন, মামলার আসামীকে গ্রেফতারের জন্য সর্বচ্চো চেষ্টা করা হচ্ছে।
(0)