সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার মাঝিয়াড়া গ্রামের আব্দুল গফুর শেখ’র পুত্র জাকারিয়া ইসলাম @ সবুজ (১৮) ফেসবুকে একটি পর্ন পেজ তৈরি করে সেখানে তাঁর সহপাঠি ৩০/৩৫জন ছাত্রীর ছবি আপলোড করে। পরে ওই ছবির মধ্যে কয়েকজন ছাত্রীর ছবির সাথে মোবাইল নাংম্বার সংযুক্ত করে এবং অশ্লিল মন্তব্য পোস্ট করে। এছাড়া উক্ত পেজে দেশী ও বিদেশী আরও বহু পর্ন মেয়েদের ছবি আপলোড হয়। খুব দ্রুত ফেসবুকের এই পেজটি ব্যপকভাবে প্রচারিত হয়। এরফলে বখাটে ছেলেরা মোবাইল নাংম্বার পেয়ে কলেজ ছাত্রীদের বিভিন্ন সময়ে ফোন করে কূরুচীপূর্ন প্রস্তাব ও অশ্লিল মন্তব্য করা শুরু করে। এতে করে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়া ছাত্রীরা বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানায়। সোমবার তালা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনার সত্যতা পান। পরে সবুজকে কলেজ থেকে আটক করে তালা থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। সবুজ উক্ত কলেজ’র ছাত্র এবং পর্ন হয়রানীর শিকার ৩০/৩৫জন ছাত্রী একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।
তালা থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, এঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম সরদার নামের এক ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে তালা থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর ৫৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং : ১০, তাং : ১৩.১০.১৫ ইং। মঙ্গলবার দুপুরে বখাটে ছাত্র সবুজকে সাতক্ষীরা জেল হাযতে প্রেরন করা হয়েছে। এদিকে, অশ্লিল কর্মকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে সবুজকে কলেজ থেকে বহিস্কার করার প্রক্রিয়া চলছে বলেÑ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহিবুল্লাহ মোড়ল জানিয়েছেন।
-বি. এম. জুলফিকার রায়হান, তালা, সাতক্ষীরা
(10)