উপজেলার তালা সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল বারীর সার্বিক সহযোগীতায় প্রায় ৩০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি শিশু গাছ কেটে বিক্রয় করা হয়েছে বলে অভিযোগে জানাগেছে।
সূত্রে জানাগেছে, তালার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয় এলাকা থেকে তালা-পাটকেলঘাটা সড়কের পাশ থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা মূল্যের বড় দুটি শিশু গাছ কাটা হয়। তালা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) নাজমুল হাসান খান চৌধুরী ও তাঁর সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুল বারী পরস্পর যোগসাজসে গাছ দুটি কাটেন। পরবির্ততে তালা মেলা বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দীনের নিকট উক্ত গাছ দুটি বিক্রয় করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, আব্দুল বারীর বাড়ি তালা উপজেলার আটারই গ্রামে। তাঁর বিরুদ্ধে খাস জমি বন্দোবস্ত দেবার নাম করে ভূমিহীনদের কাছ থেকে টাকা উত্তলোন, জমির খাজনা দিতে আসা লোকদের হয়রানী করাসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। রাস্তার উপর থেকে গাছ দুটি কেটে ভ্যানযোগে আব্দুল বারী মেলা বাজারের একটি স মিলে নিয়ে যায়। এখান থেকে গাছ দুটি কাঠ ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দীনের নিকট ৩০ হাজার টাকা বিক্রয় করা হয়। এবিষয়ে জানতে চাইলে, তালা সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান গাছ কাটার বিষয় স্বীকার করে বলেন, উক্ত গাছ কাটার বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে এবং উক্ত গাছের কাঠ দিয়ে অফিসের জন্য আসবাবপত্র তৈরি করা হবে। আর সহকারী নায়েব আব্দুল বারী গাছ কাটার সাথে জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করেছেন। কাঠ ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দীন সরকারি গাছ কেটে নায়েব অফিসে ফার্নিচার তৈরির কথা স্বীকার করলেও, নিজে গাছ ক্রয় করার কথা অস্বীকার করেছেন। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটার বিষয়টি জানতে চাইলে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, গাছ কেটে বিক্রি করার বিষয়টি আমার জানানেই। এছাড়া, সরকারি গাছ কেটে এভাবে অফিসের ফার্নিচার করারও কোনও নিয়ম নেই। এঘটনায় তদন্ত করে পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও তাঁর সহকারীর বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে নিউজ বন্ধ করতে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা আব্দুল বারী সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে এরইমধ্যে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন।
-বি. এম. জুলফিকার রায়হান, তালা, সাতক্ষীরা
(0)