কিন্তু বাবলু অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার কোনও অভিযোগ না থাকায় এলাকাবাসীর মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি সহ আতংক বিরাজ করছে।
বারুইহাটি গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা আ.লীগ নেতা সরদার মামুন জানান, রোববার রাত ১টার দিকে ৬টি বিলাসবহুল গাড়ি গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করে এলোমেলো ভাবে ঘুরাফেরা করতে থাকে।
এসময় ডাকাত মনে করে গ্রামের লোকজন এক হয়ে গাড়ি গুলো ঘিরে ফেলে এবং তালা থানার এস.আই মো. আব্দুস সবুরকে সংবাদ দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ আসার পূর্বেই কালো পোশাক পরিহিত র্যাব পরিচয় দানকারী ব্যক্তিরা আব্দুল গফ্ফার এর বাড়ি থেকে তাঁর পুত্র বাবলুর রহমান সরদার, বাচ্চু সরদার এবং প্রতিবেশি মৃত মোসলেম সরদারের পুত্র শাহিনুর সরদারকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
যাবার সময় পথিমধ্যে বাচ্চু ও শাহিনুরকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে বাবলুর রহমানকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়।
কিন্তু সোমবার বাবলুর পরিবারের লোকজন র্যাব অফিসে খোজ নিলে, র্যাব বাবলুকে গ্রেফতার করেনি বলে জানিয়েছে।
যে কারনে নিরিহ ও দরিদ্র শ্রমিক বাবলুকে র্যাব কর্তৃক গ্রেফতার আবার র্যাবের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি সহ আতংক বিরাজ করছে।
এব্যপারে তালা থানার এসআই মো. আব্দুস সবুর জানান, র্যাব-৬ এর সদস্যরা রোববার দিনগত রাতে বাবলুকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে। তবে কি কারনে এবং কেন র্যাব বাবলুকে গ্রেফতার করেছে বা গ্রেফতারের পর কোথায় নিয়ে গেছে তা তিনি বলতে পারেননি। বাবলুর বিরুদ্ধে তালা থানায় কোনও অভিযোগ নেই বলেও এসআই সবুর জানিয়েছেন।
-বি.এম. জুলফিকার রায়হান, তালা, সাতক্ষীরা
(5)