মাঝিয়াড়া গ্রামের নুরুল আমীন বিশ্বাস ও সিরাজুল ইসলামসহ একাধিক অভিভাবক জানান, লম্পট মান্নানের বাড়ি কয়রা উপজেলায়। সে দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বসবাস করে এবং সেখানকার নাগরিক। কয়েক বছর পূর্বে আব্দুল মান্নান মাঝিয়াড়া গ্রামের এনজিও কর্মী আমেনা বেগমকে বিয়ে করে। বিয়ের পর শশুর বাড়িতে বসবাস করার সুবাদে সে কৌশলে এলাকার মাধ্যমিক স্তরের এক ছাত্রীকে গত বছর ভারতের মুম্বাই পতীতালয়ে বিক্রি করে দেয়। নারী পাচারের সাথে মান্নান বন্য প্রাণী পাচারের সাথেও জড়িত রয়েছে। এজন্য সে মাজিয়াড়া এলাকায় একটি পাচারকারী চক্র গড়ে তুলেছে। বিগত বছর সে ওই চক্রের মাধ্যমে বিলুপ্ত প্রায় তক্কর সাপ পাচারকালে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। অভিভাবকরা আরও জানান, গত সোমবার দুপুরে স্ত্রী অফিসে থাকার সুযোগে লম্পট মান্নান মাঝিয়াড়া ও শিবপুর গ্রামের ছোট্ট দুই শিশু কন্যাকে তাঁর নিজ ঘরে নিয়ে পর্যায়ক্রমে যৌনপিড়ন করছিল। এরইমধ্যে ৮ বছর বয়সী শিশুর মা তাঁর কন্যাকে বাড়িতে না পেয়ে তাকে খুজতে থাকে। একপর্যায়ে মান্নানের বাড়িতে যেয়ে তাঁর কন্যাকেসহ ৬ বছর বয়সী অপর এক শিশু কন্যাকে যৌনপিড়নের ঘটনাটি জানতে পারেন।
এব্যাপারে তালা থানার ওসি মো. রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, মাঝিয়াড়া গ্রামে বসবাসকারী আব্দুল মান্নান সোমবার দুপুরে এলাকার ৬ ও ৮ বছর বয়সের দুই শিশু মেয়েকে যৌনপিড়ন করাকালে এক শিশুর মা বিষয়টি জানতে পারে। এঘটনায় শিশুর অভিভাবকরা থানায় ওইদিন অভিযোগ দায়ের করলে, তাৎক্ষনাত মান্নানকে আটকের জন্য অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। এব্যপারে ৮ বছর বয়সী শিশুর মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার মান্নানের বিরুদ্ধে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা (৩/১৫) দায়ের করেছে। এদিন দুপুরে যৌন পিড়নের শিকার দুই শিশুকে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করানোর জন্য সাতক্ষীরায় বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালতে প্রেরন করা হয়।
-বি. এম. জুলফিকার রায়হান, তালা, সাতক্ষীরা
(10)