সাংবাদিক সম্মেলনে জিল্লাল সরদার জানান, পার্শ্ববর্তি তেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত শেখ আফিল উদ্দীনের পুত্র শেখ আবুল কাশেম’র সাথে তার পরিবারের সাথে দীর্ঘদিনের সু-সম্পর্ক ছিল। এরই সূত্র ধরে আবুল কাশেম প্রায়ই তাঁর ভাই মশিয়ার, মোরশাকুল, সোহরাব ও রিয়াজুল এর নিকট থেকে টাকা ধার নিতে। আবার সময় মত সেই টাকা ফেরৎ দিয়ে দিতো। এভাবে কয়েক দফা লেনদেন করার পর আবুল কাশেম মশিয়ারের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তা আজও ফেরৎ দেয়নি। জিল্লাল হোসেন বলেন, আবুল কাশেমের মেয়ে জামাই মনি’র সাতক্ষীরা শহরে মাহেন্দ্রা গাড়ীর শোরুম রয়েছে। জিল্লালের পুত্র সিরাজুল’র একটি মাহেন্দ্রা গাড়ির প্রয়োজন হলে, আবুল কাশেম তাঁর জামায় মনির শোরুম থেকে গাড়িটি নেবার জন্য অনুরোধ করে। এতে করে দীর্ঘ সম্পর্কের সূত্র ধরে জিল্লাল হোসেন তার পুত্র সিরাজুলের জন্য আবুল কাশেম’র মাধ্যমে মাহেন্দ্রা গাড়ী কেনার সিদ্ধান্ত নেন। এসময় আবুল কাশেম ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের মাহেন্দ্রা গাড়ী কিস্তির মাধ্যমে নিতে হলে প্রথমে জমা বাবদ নগদ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। জিল্লাল হোসেন ৩ দফায় নগদ ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা এবং একটি গরু বাবদ ৪০ হাজার টাকা মিলিয়ে মোট ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আবুল কাশেমকে প্রদান করে। জিল্লাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আবুল কাশেম’র শর্ত অনুযায়ী টাকা দেবার পর মাহেন্দ্রা গাড়ী কিস্তিতে নেবার জন্য একটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয় এবং সাতক্ষীরায় জামাই মনি’র শোরুমে যাবার দিন ঠিক করে। নির্ধারিত দিনে জিল্লাল হোসেনসহ অন্য লোকজন সাতক্ষীরা যাবার প্রস্তুতি নিলে আকস্মিক আবুল কাশেম দিন পরিবর্তন করেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২ বছর আবুল কাশেম মাহেন্দ্রা গাড়ি এনে না দিয়ে নানান তালবাহানা করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক সৈয়দ জুনায়েত আকবরের শরনাপন্ন হলেÑ তিনি কয়েক দফা চেষ্টা করে ব্যার্থ হন। এমতাবস্থায় কয়েকদিন পূর্বে বিষয়টি শেখ আবুল কাশেম’র স্ত্রী শিখা বেগমকে অবহিত করলে, তিনি টাকা ফেরৎ দেবার ওয়াদা করেন। তিনিও নির্ধারিত কয়েকটি দিনে টাকা না দিয়ে একের পর এক সময় নিতে থাকে।
জিল্লাল হোসেন বলেন, আবুল কাশেম’র স্ত্রী টাকা ফেরৎ দেবার জন্য শেষ ওয়াদা করলে আমরা সেই ভাবে অপেক্ষা করতে থাকি। কিন্তু এরইমধ্যে আবুল কাশেম আমাদের টাকা বা মাহেন্দ্রা গাড়ী না দেবার জন্য অপকৌশল শুরু করে। সম্প্রতি সে সাতক্ষীরা যেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ তুলে ধরে। এছাড়া আমারসহ আমার অন্য ভাইদের নানাভাবে হয়রানী এবং ক্ষতিসাধন করার জন্য পরিকল্পিত ভাবে বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে। শেখ আবুল কাশেম টাকা ফেরৎ না দেবার কৌশল হিসেবে বর্তমানে প্রশাসন দিয়ে হয়রানীসহ নানাবিধ হুমকি ধামকি প্রদান করছেÑ বলেও জিল্লাল হোসেন জানান। এব্যাপারে জিল্লাল হোসেন তাঁর পাওনা টাকা উদ্ধারসহ আবুল কাশেমের প্রতারনার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বি. এম. জুলফিকার রায়হান, তালা, সাতক্ষীরা
(3)