জলবায়ু প্ররিবর্তনের সাথে সাথে আবহাওয়া পরিবর্তন এর বিরুপ প্রতিক্রিয়ার প্রাভাব ফেলতে শুরু করেছে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে কৃষি বান্ধব পরিবেশের উপর। পরিবেশ বিপর্য়য়ের কারণে এখন প্রচন্ড গরম, খরা, অনাবিৃষ্টি শুরু হয়েছে যার ফলশ্রুতিতে এ অঞ্চলের মানুষের মুখের হাসি চিরতরে নিশ্চিহৃ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। খাদ্য স্বয়ং সম্পূর্ণতা না হলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। একথা সার্বজনীন স্বীকৃত এ লক্ষ্যে পৌঁছানোর মূল হাতিয়ার কৃষক সমাজ। বৈরী আবহাওয়ার জন্য বর্তমান রোপা আমন মৌসুমে আষাড় ও শ্রাবণ যে বর্ষাকাল মানুষের মন থেকে ভুলে যাওয়ার সন্দেহ প্রকাশ করছে এ সব অঞ্চলের কৃষকরা। কারণ আষাড় শ্রাবণ মাসে বর্ষাকালে খালে বিলে নদ-নদীতে পানিতে থৈ-থৈ করবে কিন্তু এসব অঞ্চলে ঋতুর বিরুপ প্রতিক্রিয়া ঘটে যাওয়ার ফলে মানুষের মনে অজানা হতাশা বিরাজ করছে। এ অঞ্চলের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। শুধু মাত্র মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে কৃষকদের রোপা আমন ক্ষেতের ধানের চারা লাগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকের ধানের চারা লাগাতে ২/৩ বার বীজ ফেলতে হয়। পানির অভাবে চারা শুকিয়ে লালচে বর্ণ ধারন করতে দেখা যায়। এর কারন সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারনা মাত্রারিক্ত লবনাক্ততা, খরা, অতিবৃষ্টি অনাবৃষ্টি, ঋতুর বৈষম্যতা, এ সমস্ত বিরুপ পরিস্থিতিকে বরন করে সিডর, ঘুর্ণিঝড় ও আইলার মতো জলোচ্ছাস মোকাবেলা করার মত অদম্য সাহসকে পুজি করে এর চেয়ে আরো ভয়ংকর পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হতে পারে বলে তাদের ধারনা। তাই পরিবেশ বান্ধব ধান বীজ বোরো-আউশ ও বোরো মৌসুমে ধান চাষের পাশাপাশি মৌসুমের সাথে তাল মিলিয়ে মুসুরী ডাল, মুগ ডাল, ছোলা ডাল, বুট ডাল, সহ তিল, সরিষা, ও সুর্যমূখি চাষের উদ্দ্যোগ করতে হবে। মাটি ও মানুষ এই দুটি শব্দের যথার্থ প্রয়োগ ঘটাতে হবে তবেই না ভাগ্যের চাকা ঘুরানো সম্ভব। এ সকল বিষয়ের প্রতি কৃষক সমাজকে সচেতন করতে হবে। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ সহ রাসায়নিক সার প্রয়োগের সার্বিক শিক্ষা কৃষকদের বর্তমান কালে উন্নতির মহা সোপন বলে বিশেষজ্ঞরা ধারনা পোষন করেন। তারা আরো মনে করেন এসব অঞ্চলের কৃষকদের ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চাষাবাদ করলে মুখের হাসি কখনো মুখথুবড়ে পড়বে না। কেবল মাত্র ক্ষেত্র, কাল, পরিবেশের উপর গুররুত্ব দিয়ে ফসলের মাঠের দিকে সজাগ দৃষ্টি রেখে জানা ও বোঝা এর সমন্বয় সঠিক করে একে অন্যের প্রতি অনুসারী হলেই এই বৈরী আবহাওয়ার কবল থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞ ধান গবেষনা ইনিষ্টিটিউট ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের অন্যতম সদস্য রঘুনাথ রায় ধারনা পোষন করেন।