কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়ন তহশীলদার মীর রেজওয়ান আলীর বিরুদ্ধে সীমাহীন দূর্নীতি ও উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে।
দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিস সূত্রে জানা যায় কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের হরিনটানা এলাকার মৃত দুর্গাপদ সরকারের পুত্র সুব্রত সরকার তার দখলীয় সম্পত্তির অনূকূলে কৈলাশগঞ্জ তহশীল অফিসে খাজনা পরিশোধ করতে গেলে তহশীলদার উৎকোচ চাওয়ায় তহশীলদার মীর রেজওয়ান আলী এর সাথে সুব্রতর বাত বিতন্ডা হয়।
সুব্রত সরকার গং সরকারী ডি.সি আর নবায়ন করে নিয়ম মাফিক একটা জমিতে ৪০ বৎসর যাবৎ শান্তি পূর্ন ভোগ দখল করে আসছিল। পরবর্তীতে সুব্রত উপর আক্রোশ মূলক আচরন সহ মিথ্যা প্রতিবেদন দেয় উক্ত ডি সি আর সংক্রান্ত জমির উপর ।
এদিকে জনৈক মনোরঞ্জন বাহাদুর বাদী হয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পাকা ধান আটকাদেশ দেয়। এ বিষয় তহশীলদার সরজমিনে যাওয়ার কথা বলে সুব্রতর কাছে উৎকোচ দাবী করে। তহশীলদার মীর রেজওয়ান আলী সরজমিনে না যেয়ে মিাথ্যা প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দেয় নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে।
এ প্রতিবেদনের ৭ দিন পর ধার্য্য দিনে সংশ্লিষ্ট এলাকার দুইজন মেম্বর অমল বাবু ও অমর বাবুকে ধান কাটার আদেশ দেন। তহশীলদার মীর রেজওয়ান আলী মৌকুফ দাখিলা দিতে ১,০০০/- টাকা গ্রহন করেন। এমন উৎকোচ গ্রহনে এলাকায় বহু নজির আছে।
এছাড়া সুতারখালী ই্উনিয়নে তহশীলদার থাকা কালিন এলাকায় তার বিরুদ্ধে বহু অনিয়মের অভিযোগ ছিল। তহশীল অফিসের নিকটবর্তী নারায়ন ঘোরামী নামক জনৈক ব্যক্তি উক্ত তহশীল অফিস পরিচালনা করেন। খাজনা বিষয়ক কর্মকান্ডে প্রথমে উক্ত নারায়ন ঘরামীর নিকট দেন দরবার না করলে কোন কাজ হয় না।
এছাড়া উক্ত তহশীলদারের বিরুদ্ধে নারী ঘটিত এলাকায় নানা অভিযোগ রয়েছে বলে নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগকারী সুব্রত সরকার জানান। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিভাগীয় কমিশনার খুলনা ও জেলা প্রসাশক খুলনার নিকট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যবপারে রেজওয়ানের কাছে জানতে চাইলে বলেন নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে ডাকলে তাকে বলবো সাংবাদিকদের কাছে কিছু বলতে চাই না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
-শচীন্দ্রনাথ মন্ডল, দাকোপ, খুলনা
(9)