দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধিঃ খুলনার দাকোপে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচারন, কুরুচিপূর্ন ভাষায় হুমকি ও সম্মানহানীর অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ভূক্তভোগি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কামারখোলা ইউনিয়নের কালিনগর গোবর্দ্ধন চন্দ্র মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচন ২০২২ এর ভোটার তালিকায় দাতা সদস্য অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেরী কয়ালের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী মহল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে একটি অভিযোগ দেয়। নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত অভিযোগ তদন্তের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুরাইয়া সিদ্দীকাকে দায়িত্ব দেন। গত ১৫ নভেম্বর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষককে তদন্ত কর্মকর্তার দপ্তরে ডাকেন। সেখানে দাতা সদস্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের কাগজপত্র জমা দিতে বললে প্রধান শিক্ষক অভিযোগের বিষয়ে জানতে এবং তার নকল বা ফেটোকপি পেতে চান।
এছাড়া নোটিশ না করে হঠাৎ কাগজপত্র চাইলে কিভাবে দেওয়া সম্ভব এবিষয়ে কথা বলেন। তদন্ত কর্মকর্তা তখন কোন কিছু না বলে তাকে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যান। সেখানে অভিযোগের বাদি পক্ষের সমর্থিত মহল আগে থেকে ওৎপেতে বসেছিলেন। তাদের সামনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগের কপি চাওয়ায় তার উপর চড়াও হয়ে আইন শিখিয়ে দিবে, কার সামনে কথা বলছেন, আপনি জানেন আমি কে, আপনাকে আমি কি করতে পারি জানেন এসব বলে হুমকি দেন। তিনি এ সময়ে ষড়যন্ত্রকারী ব্যক্তিবর্গকে বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার উষকানি দেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানান কুরুচিপূর্ন মন্তব্যও করেন। এভাবে নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকাশ্যে শিক্ষক সমাজের সাথে বিভিন্ন সময়ে দূর্ব্যবহার ও অপ্রত্যাশিত আচারনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন। ইতিপূর্বে বহুবার তিনি নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক অসম্মানিত হয়েছেন। এতে শিক্ষকদের সম্মান রক্ষা ও তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নানামুখী ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারে বলে তিনি মনে করছেন। যে কারণে নিরুপায় হয়ে এহেনো সম্মানহানীকর পরিস্থিতির প্রতিকার চেয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ কয়েটি দপ্তরে অনুলিপি প্রেরণ করেছেন বলে ভাপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বেরী কয়াল জানান।
এবিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুরাইয়া সিদ্দীকা জানান, আমি প্রথমে ফোনে প্রধান শিক্ষককে তদন্তের বিষয়টি জানাই। কিন্তু তখন উনি আপত্তি করেনি। পরে অফিসে এসে অভিযোগের নোটিশ চান। পরে নোটিশ দিয়ে ওনাকে নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের দপ্তরে নিয়ে যাই সেখানে কথাবার্তা হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে জানেন। এব্যাপারে কামারখোলা ইউপি চেয়ারম্যান পঞ্চানন মন্ডল জানান, সেখানে কোন প্রকার অপমান জনক কথা হয়নি।
(5)