দাকোপের গড়খালী এলাকায় চোরাই কাঠের শালিসে অবৈধ অস্ত্রধারী গংয়ের চাঁদাবাজির ভয়ংকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের টার্গেটে থাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য জানমালের নিরাপত্তায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সহকারী পুলিশ বরাবর লিখিত আবেদন করেছে।
সহকারী পুলিশ সুপার দাকোপ সার্কেল বরাবর লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায় সুন্দরবনের মূল্যবান কাঠ পাচারের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৪ অক্টোবর দাকোপের তিলডাঙ্গা ইউপির অধীন মোজামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জালাল গাজীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংশ্লিষ্ট ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বর এলাহী বক্স গাজীসহ এলাকার সহস্রাধীক মানুষ উপস্থিত ছিল বলে জানা যায়। শালিসে কাঠ পাচারের সাথে জড়িত গড়খালী গ্রামের ইউছুপ গাজীর পুত্র মালেক গাজীকে নানা কৌশলে জেরা করার এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসে অবৈধ অস্ত্র এবং চাঁদাবাজির চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত মালেক গাজীর স্বীকারোক্তি মতে একই গ্রামের নবাত আলী সানার পুত্র রাসেদ সানার নির্দেশে বটিয়াঘাটার বুনারবাদ গ্রামের অজ্ঞাত ব্যক্তির কাছ থেকে ২ বছর পূর্বে একটি পাইপগান এনে রাসেদ সানার কাছে দেয়। এরপর থেকে তারা অপরাপর সহযোগীদের নিয়ে এলাকায় ঘের দখল চাঁদাবাহিসহ নানা বেআইনী কাজের সাথে জড়িত। সম্প্রতি তারা স্থানীয় ১০ ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। অভিযোগ মতে শালিসে অপর অভিযুক্ত রাসেদ সানা সকল অভিযোগ স্বীকার করে। ওই দশ জনের তালিকায় নাম থাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য এলাহী বক্স গাজী নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে এবং তাদের গ্রেফতার পূর্বক অস্ত্র উর্দ্ধারের দাবী জানিয়ে গত ১৪ অক্টোবর সহকারী পুলিশ সুপার দাকোপ বরাবর এক লিখিত আবেদন করেছে। আবেদনে স্থানীয় অপর ইউপি সদস্য নীল কোমল সরদারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের স্বাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে।
-শচীন্দ্রনাথ মন্ডল, দাকোপ, খুলনা
(0)