দীর্ঘ দিন দাকোপের অফিস আদালত, জনপ্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের বিরুদ্ধে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে নানা ভাবে চাঁদাবাজি করে আসছিল কথিত হলুদ সাংবাদিক তাপস মহলদার। সে দাকোপের ধোপাদী গ্রামের খগেন্দ্রনাথ মহলদারের পুত্র। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী বিষয়টি উপজেলার মাসিক আইন শৃংক্ষলার সভায় উত্থাপন করে প্রতিকার চায়। যে কারনে সর্বশেষ মাসিক সভায় ওই কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়। এত কিছুর পরও বেপরোয়া ওই তাপস মহলদারের অপতৎপরতা অব্যহত থাকে। সম্প্রতি দাকোপের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিভূতি রঞ্জন দাসের বাসায় ঢুকে নিজেকে প্রধান মন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও সাংবাদিক পরিচয়ে হুমকি দিয়ে পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপরও সাপ্তাহিক অপরাধ তথ্য চিত্র নামক পত্রিকায় কৃষি কর্মকর্তার একটি ছবি ভিন্ন ব্যক্তির ছবির স্থলে কম্পিউটার ম্যাকানিজমের মাধ্যমে পেষ্ট করে ছাপিয়ে দেয়। সোমবার দুপুরে ওই পত্রিকার একটি কপি নিয়ে অভিযুক্ত তাপস মহলদার পুনরায় বিভূতি রঞ্জনের কাছে চাঁদাদাবী করে। কথিত হলুদ সাংবাদিকের চাঁদাবাজির সংবাদটি মূহুর্তের মধ্যে উপজেলা সদরে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা তাকে আটক করে উত্তম মাধ্যম শুরু করে। পরবর্তীতে দাকোপ প্রেসক্লাবের সদস্যরা তাকে জনতার হাত থেকে উর্দ্ধার করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে তাপস মহলদারের চাঁদাবাজির শিকার অসংখ্য ব্যক্তি এসে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনে। অভিযোগকারীদের মধ্যে স্কুল শিক্ষক সমারেশ রায়, নন্দীতা রায়, নিবেদিতা রায়, শেফালী হালদার, ভাস্বতী রায়, নলিয়ান গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আব্দুস সবুর, রহমত আলী, কৈলাশগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মিহির মন্ডল, সাহেবের আবাদ গ্রামের সাংস্কৃতিক কর্মি গৌতম সরকারসহ অনেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ধরে। সর্বশেষ ভুক্তভোগী গৌতম সরকার এবং কৃষি কর্মকর্তা বিভূতি রঞ্জন দাস বাদী হয়ে তাপস মহলদারের বিরুদ্ধে দাকোপ থানায় পৃথক ২ টি চাঁদাবাজির এজাহার দাখিল করেছে। এলাকাবাসী কথিত এই হলুদ সাংবাদিকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জন্য প্রশাসনের উর্ধর্তন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।
-শচীন্দ্রনাথ মন্ডল, দাকোপ, খুলনা
(7)