দাকোপ প্রতিনিধিঃ খুলনার দাকোপে চালান পৌরসভার ভ্যান রিক্সা চালকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। বৈশ্বিক ও প্রাকৃতিক প্রতিকুল পরিবেশে দ্রব্যমূলের যে উদ্ধগতি তার সাথে কোন ভাবেই খাপখাওয়াতে পারছেনা ভ্যান ও রিকশা চালক দিনমজুররা। চালনা পৌরসভায় ভ্যান ও ইঞ্জিবাইকের সংখ্যা এতটা বেড়াগেছে যে প্রত্যেক ডাইভার ক্ষতিগ্রস্হ হচ্ছে। তাদের পূর্বে দৈনিক আয় ছিল ৫ শো থেকে ১ হাজার টাকা। বর্তমানে সে আয় নেমে হচ্ছে ২ শো থেকে ৩ শো টাকা। যাদিয়ে তারা পরিবারের খরচসহ ছেলে মেয়েদের পড়ার খরচ চালাতে হুমসিম খাছে।
চালনা শহর ভ্যান রিকশা চালক সমবায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ আবদুল রাজাক গাজী এবং সদস্য আবদুল্লাহ মোল্লা জানান পৌরসদরে দিন দিন ভ্যানের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে তাতে করে আমারা সবাই লোকসানে আছি। আয় ইনকাম ক্রমান্নয়ে কমে যাচ্ছে। কিছু দিন পরে ভ্যান বিক্রি করে অন্য পেশায় যেতে হবে। সমিতির সভাপতি মোঃ আকবর সানা জানান অভাবের তাড়োনায় ১০/১২ বছর বয়সী কিশোরা ভ্যান রিকশা নিয়ে রাস্তায় নেমে আসছে কোন ভাবেই তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ফলে এক দিকে বাড়ছে দুর্ঘটনা অন্য দিকে কমে যাচ্ছে দৈনন্দিন আয়।
চালান পৌরসভায় কত গুলো ভ্যান, রিকশা, ইঞ্জিবাইক চলে এবিষয়ে চালান পৌরসভার সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন চালনা পৌরসভায় এর কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যে পরিসংখ্যানটি প্রস্তুত করবো। এবিষয়ে চালান পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বললেন পৌরসভায় কতগুলো ভ্যান রিকশা চলে তার কোন জরিপ করাহয়নি।
তবে স্হানীয় ভ্যান চলক সুত্রে জানাযায় চালনা পৌরসভায় ১৫ শো অধিক বাটারী চালিত ভ্যানসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করে অথচ পৌরসভার কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, বলে সুত্রে জানাযায়।
(3)