দাকোপ প্রতিনিধিঃ খুলনার দাকোপে চুনকুড়ি ও ঢাকি নদীতে ভাসবান অবস্থায় কুমির দেখে আতংকে আছে এলাকার নানান শ্রেনীর পেশার মানুষসহ মৎস্যজীবিরা।
সরেজমিনে ঘুরে জানাজায়, নদী বেষ্টিত দাকোপ উপজেলা তিন টি বদ্বীপ নিয়ে গঠিত হয়েছে। চুনকড়ি, ঢাকী ভদ্রা নদীসহ ২/৩ দিন বেশ জোরে সোরে এলাকার মৎস্যজীবি মানুষের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে চুনকুড়ি ও ঢাকি নদীতে য়ারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে তাদের মধ্যে। ষারা এ সকল নদীর তীর বর্তীতে বসবাস করে আসছে তারা এখন, এ নদীতে নামতে ভয়পাছে, না জানি কখন দুরঘর্টোনার স্বীকারে পড়তে হয়। আকালে হারাতে হয় জীবন। সে কারনে আনেকের জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য বাধাগ্রস্হত হতে দেখা যাচ্ছে। এ বিষয় কথা হয় চুনকুড়ি নদীতে জালটেনে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা স্বামী পরিত্যক্ত আম্বিয়া বেগম, আছিয়া বেগমের সাথে তাঁরা জানায় আমারা দীর্ঘ দিন ধরে এ নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি।
প্রতিদিন নদীতে জালটেনে মাছ ধরে প্রায় ৫/৬ শো অধিক টাকার মাছ ধরে বিক্রিয় করে ছোট এক ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে অতিকষ্ঠে দিন কাটাছি। কিন্তু এখন নদীতে কুমির ভাসতে দেখা গেছে । ভয়ে নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারছিনা। প্রতিদিন মাছ মেরে আয় না করলেও সংসার চলেনা। নদীতে কুমির ভাসছে এ আতংকে অতিকষ্টে দিন চলছে বলে জানায় তাঁরা। কথা হয় একজন মৎস্যজীবি নদীর তীরবর্তী লক্ষ্মণ ও ভলানাথ সরদারের সাথে তাঁরা জানায়, আমরা প্রতিদিন ঢাকী ও চুনকুড়ি নদীতে ক্ষেপলা জাল দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছি। এখন নদীতে কুমির ভাসছে নদীতে মাছ মারার জন্য যেতে পারছিনা না। একদিন মাছ না মারলে সংসারও চলেনা এখন কুমিরের আতংকে অতিকষ্ট।
এব্যাপারে দাকোপ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সেলিম সুলতান বলেন জোয়ারের সময় পথ ভুলে এ সকল নদীতে কুমির চলে আসতে পারে বলে তিনি জানান।
(9)