সরেজমিনে জানাযায়, চালনা পৌর সদর সহ উপজেলার সকল নদ-নদী থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও এলাকায় স্থানীয় স্বার্থন্নেষী অসাধু প্রভাবশালী বালু ব্যাবসায়ীরা প্রশাসনের নাকের ডগায় জনৈক শামীম আহম্মেদ সহ ৮/১০ টি গং শিবশা,ঢাকি, ঝপঝাপিয়া, চুনকুড়ি, নলিয়ান পশুর, ভদ্রা, নদী থেকে অবৈধ ভাবে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বহিরাগত ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে রমরমা ব্যাবসা চালিয়ে আসছে। উল্লেখ্য বালু উত্তোলনের ফলে গত ৩ মাসে দাকোপের নলিয়ান বাজার, পোদ্দার গঞ্জ, রেডষ্টার হ্যাচারীর সামনে, পৌর এলাকার ৪ নং ওর্য়াড, চুনকুড়ি খেয়াঘাট, ঝালবুনিয়া, পানখালী, হোগলাবুনিয়া, পশোরধার, দাকোপ খেয়াঘাট, বানিশান্তা পতিতাপল্লী, বানিশান্তা বাজার, আমতলা পুলিশ ফাড়ির সামনে, জালিয়াখালি ক্লোজার, কালাবগীর শিবসাপার, কৈলাশ গঞ্জ, সহ বিভিন্ন এলাকার বেড়ীবাধ সহ ব্যাপক ভাবে নদী ভাঙ্গন ও প্লাবিত হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃনাল কান্তি দে’র র্নিদেশে দাকোপ থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে অসাধু ঐ ব্যাবসায়ীর ৬ পিচ বড় পাইপ জব্দ করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর এলাকায় বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে। পরবর্তিতে কয়েক দিন পেরুতে না পেরুতে আবারো কোন অদৃশ্য শক্তিবলে বালু উত্তোলনের কাজ শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় আবারও এলাকাবাসীর মধ্যে নদী ভাঙ্গনের আতংক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয় আমি কিছুই জানিনা। আমি বালু উত্তোলনের জন্য এর আগেও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি যদি তারা আবারও নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
-শচীন্দ্রনাথ মন্ডল, দাকোপ, খুলনা
(1)