খবর বিজ্ঞপ্তি: প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে পারলে ইউনিয়ন পরিষদের সেবার মান স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বাড়বে। জনগণের বিশ্বস্ততার সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে প্রয়োজন প্রযুক্তির ছোঁয়া। এর মাধ্যমে দ্রুত সেবা দিতে পারলে ইউনিয়ন পরিষদের প্রতি জনগণের-সন্তুষ্টি বাড়বে।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে খুলনার দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়ন পরিষদে বাস্তবায়িত ডিজিটাল হোল্ডিং অ্যাসেসমেন্ট কর্মসূচির আওতায় ‘হোল্ডিং অ্যাসেসমেন্ট সফটওয়্যার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। পানখালী ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রুরাল অ্যাণ্ড আরবান পুওরর্স পাটনার ফর সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্টের (রূপসা) বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজন করে।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সফটওয়্যার ব্যবহার সম্পর্কে উপস্থাপন করেন রূপসা’র নির্বাহী পরিচালক হিরন্ময় মন্ডল। এসময় তিনি স্মার্ট পরিকল্পনায় ব্যবস্থাপনা ও কর্মপন্থার দৃষ্টিভঙ্গি, প্রযুক্তির দৃষ্টিভঙ্গি, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের প্রেক্ষাপট এবং গবেষণা ও উন্নয়ন প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন।
পানখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সাব্বির আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস। ইউপি সচিব এসএম এমরান আলীর সঞ্চালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নীশিকান্ত গোলদার, রূপসা’র প্রোগ্রাম অফিসার আজিজুর রহমান, ইউপি সদস্য এসএম সাইদুর রহমান, মো. ইদ্রিস আলী, শহিদুল ইসলাম, আনন্দ মোহন সরদার, মো. হামজালা, সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য বিউটি খাতুন, শিউলী খাতুন, সাবিনা ইয়াসমিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও মিন্টু বিশ্বাস বলেন, ইউপি কর যদি ঠিকমত আদায় করা যায়, তাহলে ওই অর্থ দিয়ে রাস্তা-ঘাট, মসজিদ, মন্দিরে কাজ করে ইউনিয়ন পরিষদের দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরিত করেছে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্ণিমান করবেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের ইউনিয়ন পরিষদগুলোকেও স্মার্ট ইউপিতে রূপান্তরিত করতে হবে।
ইউএনও বলেন, পানখালী ইউপি হোল্ডিং অ্যাসেসমেন্ট সফটওয়্যারের আওতায় আসায় এর সুফল জনগণ দ্রুততম পাবেন। এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে বসবাসকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র নাম্বার দিয়ে অনুসন্ধান করলে শ্রেণিভিত্তিক পেশা, সরকারি সুরক্ষা সুবিধা, ইউপি করসহ নানা সুবিধা সম্পর্কে সহজেই জানা যাবে। এর মাধ্যমে খুব সহজে ইউপি চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা একজন ব্যক্তির তথ্য নিতে পারবে। তাই প্রযুক্তির সঙ্গে জনসম্পর্ক নিরবিচ্ছিন্ন করতে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করা প্রয়োজন।
(19)