উপরের ঢলের পানি ও অতিবৃষ্টির পানির চাপে কপোতাক্ষের বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে প্লাবিত খুলনার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়নের প্রায় ৬টি গ্রামের বানভাসী মানুষ আজও তাদের গৃহে ফিরতে পারেনি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারীভাবে তেমন কোন ত্রাণ পৌঁছেনি। স্থানীয় চেয়ারম্যানের নিজ উদ্যোগে খাবার ব্যবস্থায় কোনমতে চলছে জীবনযাপন। আক্রান্ত এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি দীর্ঘদিন পানিতে তলিয়ে থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান সহ ভবনগুলোয় ফাটল দেখা দিয়েছে। সাপের উপদ্রুপসহ এক প্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থদের। এলাকার কাঁচা বাড়িঘরগুলো বিলিন হয়েগেছে। স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সরকারীভাবে ৬টন চাউল বরাদ্ধ হলেও ৩টন চাউল বানভাসীদের ভাগ্যে মিললেও বাকী ৩টন চাউল এখনও পৌছেনি বলে জানান ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম। তিনি আরোও বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকী রাজুর নিজ উদ্যোগে প্রায় ৬ হাজার বানভাসী মানুষকে প্রতিদিন ৩বেলা খাবার ব্যবস্থা চালু রেখেছেন। এদিকে দীর্ঘ ১মাস অতিবাহিত হলেও ঘরে ফিরতে পারেনি বানভাসী ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ। একদিকে খাদ্যের অভাব অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের গৃহ নির্মাণ প্রশ্নে উদ্বিগ্ন রয়েছেন। একইভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে দুর্গত এলাকার মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইউআরএসএইচ হাইস্কুল। স্কুলের টিনসেড ভবনের ৯৫ভাগ পানিতে দীর্ঘদিন তলিয়ে থাকায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার অনুকুল পরিবেশ একেবারেই ভেঙ্গে পড়েছে। অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, আলমারী নষ্ট হয়েগেছে। একইভাবে একতলা ভবনের ছাদ ফেটে গিয়ে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। শিক্ষার অনুকুল পরিবেশ না থাকায় স্কুলে পাঠদান সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে আছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার জানান, ৬ সেপ্টেম্বর থেকে জেএসসি পরীক্ষার মডেল টেষ্ট এবং ১লা সেপ্টেম্বর থেকে দশম শ্রেণীর নির্বাচনী টেষ্ট পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে পরীক্ষায় অংশ নিলেও স্কুলের অনুকুল পরিবেশ না থাকায় বিড়াম্বনার শিকার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। একইভাবে বানভাসী ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ সরকারী সাহায্যসহ তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।