শুক্রবার দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে দুদককে নখদন্তহীন করে না রেখে বরং তাকে শক্তিশালী করতে হবে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘দুদককে শক্তিশালী করতে হবে। এর জনবল আরও বাড়াতে হবে। একে ধরতে হলে তার অনুমতি নিতে হবে, তাকে ধরতে হলে ওর অনুমতি নিতে হবে- এমন হলে চলবে না। এমন আইন করতে হবে, যাতে দুদক স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে পারে।’
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ‘নখদন্তহীন’ করে না রেখে এই প্রতিষ্ঠানকে আরও ‘শক্তিশালী’ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
তিনি আরও বলেন, ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৎ থাকবেন, আর আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে থাকবো না, তা হবে না।’
সুরঞ্জিত বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ, উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একসঙ্গে চলতে হবে। আমাদের নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সৎ থাকবেন, আর আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে থাকবো না, তা হবে না। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো দুর্নীতি রোধে এগিয়ে যাচ্ছে, আমাদেরও একই ধারাবাহিকতায় এগোতে হবে। আমরা দুর্নীতি রোধে আফগানিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে আছি। উন্নয়নে এগিয়ে থাকবো, অথচ দুর্নীতি রোধে পিছিয়ে যাবো, এটা হতে পারে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে সবাই একত্রিত হয়ে কাজ করে। আওয়ামী লীগ প্রকৃত গণতান্ত্রিক দল। আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) যা করেন সবাইকে নিয়ে করেন। বিএনপিতে খালেদা জিয়া যা বলেন, তাই হয়। তিনি দিনকে রাত বললে রাত, রাতকে দিন বললে দিন। আমাদের দলে এটা হয় না।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, এম এ আজিজের ছেলে ওমর বিন আব্দুল আজিজ, বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির মিজি প্রমুখ।
(3)