দেশজুড়ে হঠাৎ করেই শুরু হয়েছে ধরপাকড়। বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি সদস্যও।
রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে ঘিরে এই গণগ্রেফতার। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলছেন, দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত করতেই এই ধরপাকড়। একই সুর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কণ্ঠেও।
মাঝে কয়েকদিন স্থিতিশলীতা, শান্ত পরিবেশ। রাজনীতির মাঠে ছিল না তেমন একটা উত্তাপ। এরপরই আচমকা কয়েকটি খুন। যার শিকার বিদেশি নাগরিক, প্রকাশক-লেখক, এমনকী আইন-শঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। এরপরই শুরু ধরপাকড়।
চলমান এই অভিযানে এরই মধ্যে সারা দেশে আটকের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। যাদের বড় অংশই বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী হলেও, রয়েছে সাধারণ নাগিরকও। আবার নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের সদস্যদেরও গ্রেফতারের দাবি করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
ভোরে বগুড়ার মধ্য পালশা এলাকা থেকে ধারালো অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ জিহাদি বইসহ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই নেতাকে গ্রেফতারের দাবি করে পুলিশ। যাদের একজন জেলা কমাণ্ডার মেহেদী হাসান জিহাদী ও সহকারী কমাণ্ডার মোদাচ্ছির তানজিল। আর দুই জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতারের দাবি করে ময়মনসিংহ পুলিশ।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ১৬৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাশকতার অভিযোগে রংপুরে আটক করা হয়, বিএনপি-জামায়াতের ১৪০ জনকে। ফেনীতে আটক করা হয়েছে ৪৩ জনকে। যাদের মধ্যে ১৯ জন বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মী। আর ঝিনাইদহে জামায়াতের ৯ জন, জয়পুরহাটে বিএনপি-জামায়াতের ৯২ জন, চট্টগ্রামের বাকুলিয়ায় ১৭, বরিশালে ২ এবং মেহেরপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জনকে।
দেশব্যাপী এই ধরপাকড়ের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, নাশকতা ঠেকাতেই চলছে অভিযান। আর শুধু চিহ্নিত সন্ত্রাসীদেরই তালিকা অনুযায়ী গ্রেফতার করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন সামনে রেখেই কি এমন গণগ্রেফতার? এমন প্রশ্নে মন্ত্রীর জবাব, নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে এখনই প্রশ্ন তোলা ষড়যন্ত্রমূলক।
(1)