প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘দেশে আইনের শিক্ষার্থী মাত্র ৩-৪ ভাগ। তাই পরবর্তী প্রজন্ম যদি আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাহলে এ সংখ্যা বাড়িয়ে পার্লামেন্টে তাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। তখন দেশে অনিয়ম বন্ধ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমরা কখনো কোনো মন্ত্রণালয় বা কারো কথায় রায় দেই না। ফোন কলেও এখন আর রায় পরিবর্তন হয় না। নথিপত্র ও সাক্ষ্য প্রমাণের ওপর ভিত্তি করেই রায় দেয়া হয়।’
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমেরিকার কংগ্রেস বা ইউরোপিয়ান দেশগুলোর পার্লামেন্টের অধিকাংশ সদস্যই আইনজীবী বা আইনজ্ঞ। তাই তারা আইনের সুশাসনসহ দেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পেরেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে পার্লামেন্টে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের ৮০ ভাগই ব্যবসায়ী।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, এ কে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সেক্রেটারি সালাউদ্দিন কাশেম খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় চবি আইন অনুষদের নবনির্মিত ভবনের ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।
ব্রেকিংনিউজ
(0)