টি টোয়েন্টি থেকে এ বার ওয়ান ডে। তাও আবার দেশের অন্যতম সেরা পাটা উইকেটে যার শুরু। টি টোয়েন্টি সিরিজে হারের পর ভারতের কাছে এটা সাফল্যে ফেরার সুযোগ।
কিন্তু কী করে? এটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
সত্যি বলতে, টি টোয়েন্টি সিরিজে তো দক্ষিণ আফ্রিকা সব বিভাগেই ভারতকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। ওয়ান ডে
এ রকম পাটা উইকেটে কী ভাবে ৫০ ওভার ব্যাট করছে দক্ষিণ আফ্রিকা, কত দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইনিংস, এর উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। কানপুরের ‘স্লো অ্যান্ড লো’ উইকেটে ম্যাচ যত এগোবে, ব্যাট করা কঠিন হবে। টি টোয়েন্টি সিরিজ হারার পর ভারতের জয়ে ফেরার একটা তাগিদ অবশ্যই রয়েছে। যে কন্ডিশনে ওয়ান ডে সিরিজটা শুরু হচ্ছে, সেই কন্ডিশনে ভারত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠতে পারে। এবং তা হলে দক্ষিণ আফ্রিকা সমস্যায় পড়বে। তবে আমার ধারণা, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে। এর আগেও বলেছি, ধোনির কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারে আরও উপরে আসা উচিত। ও যদি ভাল রান পেয়ে যায়, তা হলে ওর চেয়ে ভাল ক্যাপ্টেন আর কেউ নেই। ধোনিকে ওর আসল জায়গায় ফিরে আসতে হবে। ওর ‘টাচ’ ফিরিয়ে আনতে হবে। এবং যতক্ষণ না ক্রিজে বেশি সময় কাটানোর সুযোগ পাচ্ছে, ততক্ষণ তা সম্ভব নয়। আর অজিঙ্ক রাহানে নিশ্চয়ই প্রথম এগারোয় ফিরছে। ও ফিরে আসা মানে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের শক্তি আরও বাড়বে।
স্টুয়ার্ট বিনিকে ঠিক মতো ব্যবহার করাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। বিশেষ করে পাঁচ বোলারে খেলতে নামলে ওকে দরকার। ও যত ভাল পারফরম্যান্স দেখাবে, তত ভারতের লাভ হবে। আসলে ভবিষ্যতের জন্য ক্রিকেটার পেতে গেলে এই ফাটকাটা খেলতেই হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা যেমন খেলছে। ভারতের পাটা উইকেটের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা মানিয়ে নিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। ওদের অনেক ব্যালান্সড দেখাচ্ছে। ডেল স্টেইন, মর্নি মর্কেলদের অনুপস্থিতিতেই ওদের পরিবর্ত বোলাররা এত ভল বল করেছে। এই সিরিজে তো স্টেইন, মর্কেলরাই আছে। ক্রিস মরিস এই সিরিজে ওদের যোগ্য ব্যাক-আপ হতে চলেছে। এ ছাড়া কাগিসো রাবাদা যে ভাবে উন্নতি করছে, তাতে তো মনে হচ্ছে ওরাই কাজ চালিয়ে দিতে পারবে। আমি হলে টেস্ট সিরিজে স্টেইনকে চাঙ্গা রাখার জন্য প্রথম দুটো ওয়ানডে-তে ওকে খেলাতামই না। এটাই ফাটকা।
(0)