নিরাপত্তা ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম বন্দর। জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাস্টমসের নাকের ডগা দিয়েই বিনা শুল্কে কখনো বা নিলামে তোলা পণ্যের দাম পরিশোধ না করেই খালাস হচ্ছে কন্টেইনার।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে নিরাপত্তা ঝুঁকির এমনই এক ঘটনা। যা অসংখ্য ঘটনার একটি। তাই বিষয়টি উচ্চ ক্ষমতার একটি কমিটির মাধ্যমে অধিকতর তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের কাছে।
আর দ্বিতীয় লটের ৪টি কন্টেইনারের মালিক হন ঢাকার শাহজাহানপুরের বাসিন্দা খলিলুর রহমান। ঘটনার শুরু এরপরই। নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেও দুই ব্যাক্তির কেউই আর মূল্য পরিশোধ করে পণ্য খালাস করেন নি। কন্টেইনারগুলো বন্দরেই পরে থাকে আরো দুই বছর। এরপর একদিন হঠাত করেই গায়েব।
এক সময় বিষয়টি নজরে আসে সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্টের। অভিযোগ যায় চট্টগ্রাম কাস্টমসে। শুরু হয় তদন্ত। বেরিয়ে আসে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ঝুকির আরেকটি উদাহরণ। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দেখা যায়, গেল মাসের ২২ তারিখে সাইফুল চৌধুরী কোন টাকা পয়সা না দিয়েই জাল কাগজ পত্রের মাধ্যমে ১৪টি কন্টেইনারই খালাস করে নেন। যা ছাড় করে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
আগেও এমন ঘটনা ঘটায় গেল ৭ই অক্টোবর একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির মাধ্যমে বিষয়টিকে অধিকতর তদন্তের সুপারিশ করে এনবিআর এ একটি চিঠি দেন শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক। তার দাবী এতে বেরিয়ে আসবে থলের বেড়াল।
গেল ২৯শে সেপ্টেম্বর আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযানে চালিয়ে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার ময়নামতি মেরিন নামে একটি কন্টেইনার ডিপো থেকে ১৪টি কন্টেইনারই উদ্ধার করে। তবে তবে ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার সম্ভব হয়নি।
(2)