সূত্র জানিয়েছে, ‘ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণায়লয়ে চিঠি পাঠানো হবে। তাদেরকে ৯৬৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২৩৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য অনুরোধ জানাবে ইসি। ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার সম্পন্ন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন।
ইসি সূত্র জানায়, প্রতিটি পৌরসভায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে। তবে ১৮টির বেশি ওয়ার্ড রয়েছে এমন পৌরসভায় ২ জন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। তারা ভোটগ্রহণের দিনসহ মোট ৪ দিন দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব অন্তরা ঘোষ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধে ১৪ ডিসেম্বর থেকে প্রতিটি পৌরসভায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া নির্বাচনের দুদিন আগে এবং নির্বাচনের দিন ও পরদিন জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী মাঠে থাকবেন।’
দলীয় প্রতীকে প্রচারণা নিয়ে দোদুল্যমান ইসি
বিধি অনুযায়ী ৯ ডিসেম্বর থেকে প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করতে পারলেও দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রচারণা করতে পারবেন কীনা তা নিয়ে ইসি দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছে। যদিও সোমবার নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ সাংবাদিকের জানিয়েছিলেন, ৯ ডিসেম্বর থেকে দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় বাধা নেই।
১৩ ডিসেম্বর সব প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এর আগে ৯ ডিসেম্বর থেকে দলীয় প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারণার সুযোগ পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বঞ্চিত হবেন। আর এ নিয়েই বিপত্তির শুরু।
এ নিয়ে মঙ্গলবার কয়েকবার কমিশনারগণ এবং ইসি সচিব কয়েক দফা বৈঠক করেন। কিন্তু এদিন তারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। বৈঠকে কমিশনার শাহ নেওয়াজ ৯ ডিসেম্বরের পক্ষ থাকলেও কেউ-কেউ বিরোধিতা করেছেন। ফলে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বৈঠক শেষ করতে হয়। বুধবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
নির্বাচন কমিশন সচিব মঙ্গলবার রাতে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘৯ ডিসেম্বর থেকে দলের প্রতীক নিয়ে মেয়র প্রার্থীরা প্রচারণা চালাতে পারবেন কীনা এ বিষয়ে বুধবার সকালে সিদ্ধান্ত হবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসির পদস্থ কর্মকর্তা দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘অতীতের সব স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পর এক সঙ্গে প্রচারণা শুরু করতেন। এবারও তাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৯ ডিসেম্বর থেকে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে বাধা নেই- একজন কমিশনারের এমন ঘোষণার পর সব এলোমেলো হয়ে যায়।’
নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী বা রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের ৩ (তিন) সপ্তাহ সময়ের পূর্বে কোনো প্রকার নির্বাচন প্রচার শুরু করতে পারেন না। সে হিসেবে ৯ ডিসেম্বর থেকে প্রচারণা শুরু করতে পারবে প্রার্থীরা।
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিধি অনুসারে মেয়র প্রার্থীরা ৯ ডিসেম্বের থেকে দলীয় প্রতীকে প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতীকের জন্য আরও ৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে।’
স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে কীনা জানতে চাইলে শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘এটা খুব সামান্য ব্যাপার। ভোটাররা প্রতীক নয়, ব্যক্তিকে দেখে নির্বাচনে ভোট দেন। পৌরসভা খুব ছোট এলাকা। খুব বেশি ক্ষতি হবে না। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিজ পরিচিতিতে প্রচারণা চালাবেন।’
প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশের ২৩৫টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ১৩ ডিসেম্বর নাম প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৪ ডিসেম্বর
(6)