দুই বিদেশি নাগরিককে হত্যার প্রভাব পড়েছে দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন খাতে। বিদেশি অনেক পর্যটকই সফর সংক্ষিপ্ত করছেন, আবার অনেকেই করছেন বাতিল।
মৌসুমের শুরুতে এমন অবস্থাকে পর্যটনের জন্য বড় সঙ্কট বলছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। তবে এই প্রভাব খুব বেশিদিন থাকবে না বলেও অনেকে মত দিয়েছেন। আর এজন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
রাজনৈতিক অস্থিরতায় গেলবার মন্দা কেটেছে পর্যটন শিল্পে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় এবছর তা কাটিয়ে ওঠার আশায় ছিলেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু দুই বিদেশী নাগরিককে হত্যা এবং গাইডসহ দুই পর্যটক অপহরণের ঘটনায় সাময়িক সঙ্কটে অপার সম্ভাবনার এই খাত।
বিভিন্ন ট্যুর ও ট্রাভেল এজেন্সির দেয়া তথ্যে, এরইমধ্যে ভ্রমণ বাতিল করেছেন অনেক বিদেশি পর্যটক। এছাড়াও, অনেকেই সফর সংক্ষিপ্ত করছেন। সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে, কমে যাবে বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা।
রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোয় বেশ কিছু বুকিং বাতিল হলেও, কর্তৃপক্ষের আশা, দ্রুত কেটে যাবে কালো মেঘ। ব্যতিক্রম নয় পর্যটন এলাকা চট্টগ্রামের পরিস্থিও। তবে পর্যটন মৌসুম সামনে রেখে এখনই পর্যটকদের সেবায় বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছেন তারা।
গেল পাঁচ বছরে পর্যটন খাত থেকে সরকারের বৈদেশিক আয় হয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি। ২০১৮ এর মধ্যে পর্যটক সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি, এই খাত থেকে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যও নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে, এজন্য পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।
(0)