এ ব্যাপারে আখতারুজ্জামান খান কবির বলেন, অন্যান্য দেশের সরকার প্রধানদের মতো বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পর্যটন খাতের ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছেও ‘ওপেন লেটার’ হস্তান্তর করবেন ইউএনডব্লিউটিও মহাসচিব। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘ওপেন লেটার’ হস্তান্তর করা মানে হচ্ছে নিজেদের পর্যটন খাতকে তুলে ধরার ব্যাপারে বাংলাদেশের সব ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, দু’দিনব্যাপী এক বৌদ্ধধর্মীয় সম্মেলনে যোগদানের লক্ষ্যে ইউএনডব্লিউটিও মহাসচিব আগামীকাল সোমবার ঢাকায় আসবেন। ২৭ ও ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনে ১৩টি বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন। এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের বৌদ্ধধর্মীয় পর্যটন বিকাশের লক্ষ্যে একটি ‘রোড ম্যাপ’ প্রস্তুত করা।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উচ্চপর্যায়ের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। সম্মেলনে বিভিন্ন বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশের ধর্মগুরুরা অংশগ্রহণ করবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার আশা করে এ দেশে বৌদ্ধ স্থাপনা কেন্দ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নে আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠী ও বিনিয়োগকারীদের অন্তর্ভুক্ত করবে ইউএনডব্লিউটিও। এ সম্মেলনে বৌদ্ধধর্মীয় পর্যটন বিকাশের লক্ষ্যে আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে, বিশেষত- বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটি আন্তঃযোগাযোগের ক্ষেত্র তৈরি হবে।
প্রসঙ্গত ইউএনডব্লিউটিও এবং ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের উদ্যোগে যেসব দেশের আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং জাতীয় নীতিমালায় অগ্রাধিকার দেয়া হয়, স্বীকৃতি হিসেবে সেসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের ‘ওপেন লেটার অন ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম’ দেয়া হয়।-এবিএন
(0)