মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছাঃ সোমবার ছিল ১৮ রমজান, আর কিছুদিন গেলেই দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান উদযাপন করবে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। নতুন পোশাক ছাড়া ঈদ উদযাপন কখনই ভাবা যায় না। নতুন পোশাক আর ঈদ উৎসব এ দুটি বিষয় আলাদা করার কোন সুযোগ নেই। ঈদ আসলেই সব বয়সের মানুষ নতুন পোশাক কিনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। যদিও পাইকগাছার ঈদ বাজারে এখনো তেমনভাবে জমে ওঠেনি ঈদের কেনাকাটা। তবে রমজানের মাঝামাঝি সময়ে এসে ঈদের কেনাকাটা জমতে শুরু করেছে বলে দাবী করেছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রথম দিকে কেনাকাটার তেমন কোন প্রভাব পড়েনি ঈদ বাজারে। ধীরে ধীরে ঈদ যত এগিয়ে আসছে কেনাকাটাও জমতে শুরু করেছে। তবে দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে ঈদের কেনাকাটায় কিছুটা বিপাকে পড়েছেন মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ এমনটাই জানিয়েছেন অনেকেই। তবে ঈদের সময় যত এগিয়ে আসবে ততবেশি কেনাকাটা জমে উঠবে এমনটাই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
সোমবার দিনভর পাইকগাছা পৌর সদরের ঈদ বাজার ঘুরে দেখা যায় সিট-কাপড় ও পোশাকের দোকানে ক্রেতাদের বেশি ভীড় লক্ষ করা যায়। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষ তাদের পছন্দের পোশাক আগে-ভাগেই কিনছেন। এ ক্ষেত্রে পুরুষ ক্রেতাদের উপস্থিতি অনেকটাই কমছিল। গোপালপুর গ্রামের শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন জানান, এবারের ঈদে সে পছন্দের নায়রা ড্রেস নিয়েছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধু মরিয়াম খাতুন জানান, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির কারণে এবারের ঈদে কেনাকাটা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে। বাজারে এসে দেখছি বিগত বছরের চেয়ে এবছর পোশাকের দাম অনেকটাই বেশি। ছেলে-মেয়ে সহ পরিবারের পোশাক কিনতে গিয়ে আমাদের মত মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফজলু ক্লথ ষ্টোরের ফজলুর রহমান জানান, এবারের ঈদে তরুণীদের পছন্দের পোশাক নায়রা, নেট লেহাঙ্গা, দুবাই চেরী ও অরগানজা।
নেট লেহাঙ্গা বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার, নায়রা ৩ হাজার, দুবাই চেরী ২ হাজার ৭শ ও অরগানজা ১ হাজার ২শ টাকা। বস্ত্র ব্যবসায়ী শফিয়ার রহমান জানান, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির প্রভাব কিছুটা ঈদ বাজারে পড়েছে। যার ফলে রমজানের প্রথম দিকে তেমন কোন কেনাকাটা ছিলনা। তবে আশা করছি ঈদ যত এগিয়ে আসবে কেনাকাটা তত জমে উঠবে। পোশাক-আশাকের পাশাপাশি প্রসাধনীর দোকানেও কেনাকাটা জমতে শুরু করেছে। তরুণী হাবিবা খাতুন জানান, ঈদ এখনো কিছুদিন বাকি রয়েছে। তবে আগেভাগেই প্রসাধনী কেনাকাটার কাজ শেষ করেছি। মিম কসমেটিক্স এর মুন্নী বেগম জানান, তরুণ তরুণী ও নারীরা এবারের ঈদে তাদের পছন্দের পালর্স ব্যাগ, চুরি, মেহেদী সহ অন্যান্য প্রসাধনী সামগ্রী কিনছে। মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর ক্রেতা-বিক্রেতা সকলের জীবনে খুশি বয়ে আনুক এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
(7)