পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ পাইকগাছায় শিশু সহ সব শ্রেণির মানুষের মাঝে সাড়া ফেলে দিয়েছে বই মেলা। সন্ধ্যার পর শিশুদের কলকাকলি আর উচ্ছাস এ বই মেলা পরিণত হচ্ছে প্রাণের মেলায়। শিশুদের পাশাপাশি সব বয়সের সব শ্রেণি পেশার দর্শনার্থী বই মেলায় আসছে। মেলায় বই সহ অন্যান্য পণ্যের বিক্রয়ও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মেলার স্টল প্রদানকারী ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে পৌরসভা ও অরণ্য পাইকগাছা নামের একটি সামাজিক সংগঠন যৌথভাবে ১৩দিন ব্যাপি বই মেলার আয়োজন করেছেন। পৌরসভা মাঠেই প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলছে প্রাণের বই মেলা। এর আগে ছোট খাটো পরিসরে দুই একবার বই মেলার আয়োজন করতে দেখা গেলেও বিগত দুই দশকের মধ্যে এ ধরণের বই মেলার আয়োজন দেখা যায়নি। দীর্ঘদিন পর ভাষার মাসে উপজেলা পর্যায়ে এ ধরণের বই মেলার আয়োজন ইতিবাচকভাবে দেখছেন সচেতন মহল। অনেকেই মনে করছেন ডিজিটাল যুগে মানুষ যখন বই পড়া ছেড়ে দিয়ে ফেসবুক সহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে এমন সময়ে এ ধরণের বই মেলার আয়োজন মানুষকে কিছুটা হলেও বই পড়ার দিকে ধাবিত করবে।
অপরদিকে এলাকায় তেমন কোন চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায় বই মেলা আকৃষ্ট করছে এলাকার কোমলমতি শিশু কিশোরদের মধ্যে। বিকালের পর থেকে মেলায় শিশুদের উপস্থিতি ক্রমেই বেড়ে চলেছে। অনেক শিশুরা সহপাঠীদের সাথে দল বেধে আসছে মেলায়। অনেকেই আবার বাবা মায়ের সাথে মেলায় আসছে। মেলায় বইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যেরও স্টল রয়েছে বেশ কয়েকটি। যার মধ্যে দর্শনার্থীদের মন কাড়ছে বেতের তৈরী বিভিন্ন জিনিসপত্র। আছে নানা রকমের বিদেশী ফুল, আছে হরেক রকমের চা ও খাবার। অনেকেই কিনছেন খেলাধুলা ও ইলেকট্রিক সামগ্রী। দর্শনার্থীদের বিশেষ বিনোদনের জন্য প্রতিদিন আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সবমিলিয়েই রোববার মেলার চতুর্থ দিনে শিশুদের কলকাকলী আর উচ্ছাসে বই মেলা হয়ে ওঠে প্রাণের মেলায়। মেলায় আসা শিশু তাহিয়া ইসলাম জানায়, আমরা দুই বোন বাবার সাথে মেলায় এসেছি। মেলা থেকে শিশুতোষ বই ও ফুল কিনেছি। মেলা থেকে খাবারও খেয়েছি। মেলায় এসে আমাদের অনেক বালো লেগেছে। বিশ^বিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী ফারিহা বলেন, ছুটিতে কিছুদিনের জন্য বাড়িতে এসেছি। এলাকায় এসে দেখছি বই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে কখনো এলাকায় এ ধরণের আয়োজন দেখিনাই। মেলায় এসে খুব ভালো লেগেছে। তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরণের আয়োজন অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে তরুণ এ শিক্ষার্থী মন্তব্য করে।
(0)