উল্লেখ্য পৌর সদরের সরল গ্রামের মানিক বাজনদারের ছেলে আবুল হোসেন বাজনদার (২৭) পেশায় একজন ভ্যান চালক ছিল। ১০ বছর বয়সে তার শরীরে একটি আঁচিল থেকে (হিউম্যান পারপোরিয়াস ভাইরাস) বিরল এ রোগের সূত্রপাত হয়। ধীরে ধীরে তার হাতে ওপায়ের অঙ্গুলি গুলো গাছের শিকড়ের ন্যায় প্রসারিত হতে থাকে।
প্রথমে দেশের বিভিন্ন স্থানে এবং পরবর্তীতে প্রতিবেশি দেশ ভারতেও চিকিৎসা করে কোনো লাভ না হওয়ায় অনেকটাই আশা ছেড়ে দিয়েছিল হতভাগ্য আবুল। দীর্ঘদিন বিরল এ রোগ ভোগের পর সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও অনলাইনে তার এ রোগের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হয়। এতে চিকিৎসক ও সচেতন মহলে ব্যাপক সাড়া পড়ে।
এক পর্যায়ে গত শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্নএন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটে ভর্তি করা হয় আবুল কে। গত রোববার তার চিকিৎসার জন্য ইউনিটের অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালামকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনও করা হয়েছে। এদিকে আবুলের বিরল এ রোগের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। গোপালপুর গ্রামের মৃত ডাঃ মোজাম আলী সরদারের ছেলে হাবিবুর রহমান জানান, আমি ১৯৮০ সাল থেকে বিবিসি বাংলা বিভাগের খবর শুনে আসছি।
নিজ এলাকায় এমন একটি রোগে কেউ দীর্ঘদিন ভুগছে তা আমার জানা ছিলনা। প্রতিদিনের ন্যায় শনিবারও বিবিসির খবর শুনছিলাম। খবরে আবুলের প্রতিবেদনটি শুনে আমি হতবাক হয়ে যায়।
এলাকাবাসীর দাবী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের ন্যায় আন্তর্জাতিক মহলও আবুলের চিকিৎসার ব্যাপারে এগিয়ে আসবে।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(125)