খুলনার পাইকগাছায় মাদক, জুয়া, নাশকতা সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ওসি মোঃ আশরাফ হোসেন। কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে জোরদার করাসহ নান্দনিক বিভিন্ন পদক্ষেপে বর্তমানে এলাকার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যোগদানের পর গত আড়াই মাসে তিনি ৪৫০জন অপরাধীকে আটক, লাইসেন্সবিহীন মটরসাইকেল জব্দ, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য উদ্ধার করেছেন। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় ওসি আশরাফ হোসেনের নান্দনিক পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সূত্র মতে, গত ১৬ জুন’১৫ জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ পাইকগাছা থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করেন মোঃ আশরাফ হোসেন। যোগদানের পরেই তিনি মাদক, জুয়া, নাশকতা সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশী কাজে সহায়ক হিসাবে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে জোরদার করার উদ্যোগ নেন। ইতোমধ্যে ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ৬টি ইউনিয়ন কমিটির সাথে মতবিনিময় করেছেন। কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামকে জোরদার করার সুফল হিসাবে উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে বর্তমানে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যোগদানের পর গত আড়াই মাসে ৪৫০জন মাদকসেবী জুয়াড়ী, ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ও সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। একই সময় ২০ ব্যক্তিকে জরিমানা, ২৭ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা ও ৬জনকে জেলপ্রদান করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি দেশী তৈরী পিস্তল, একটি দেশী তৈরী পাইপগান, একটি দেশী তৈরী ওয়ান সুটারগান, রাইফেল ও বন্দুকের গুলি। ১৭১ বোতল ফেনসিডিল, ১৯৮০ পিচ ইয়াবা, ৩৮০ গ্রাম গাঁজা ও ১ লিটার দেশী মদ। এছাড়াও প্রতিদিন পাইকগাছা কলেজ, হাসপাতাল রোড, ব্রীজ রোড, মধুমিতা পার্কসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে এস,আই জহুরুল ইসলামের নেতৃত্বে সাদা পোষাকধারী পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকায় এলাকা থেকে উধাও হয়ে গেছে ইভটিজার ও বখাটেরা। জব্দ করা হয়েছে কাগজপত্রবিহিন অসংখ্য মটরসাইকেল। এ ব্যাপারে পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, বর্তমান ওসি যোগদানের পর পৌর এলাকার আইনশৃংখলা পরিস্থিতি যথেষ্ঠ উন্নতি হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ স.ম. বাবর আলী জানান, ওসির নান্দনিক পদক্ষেপে এলাকার সার্বিক আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিশেষ করে মাদক এবং জুয়াড়ীদের বিরুদ্ধে ওসির পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। ওসি আশরাফ হোসেন জানান, প্রতিটি নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু জনসংখ্যার আনুপাতিক হার অনুযায়ী পুলিশের সংখ্যা পর্যাপ্ত না হওয়ায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। সে কারণে পুলিশী কাজের সহায়ক হিসেবে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে জোরদার করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়ন কমিটির সাথে মতবিনিময় করার পর অনেক সুফল এসেছে। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।