বিপ্লব ঘোষ হত্যা মামলার আসামী জবা খাতুন আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি দিয়েছে।
২ দিনের রিমান্ড শেষে পাইকগাছা থানা পুলিশ মঙ্গলবার জবাকে আদালতে সোপর্দ করে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট জামশেদুল হকের আদালতে জবা মাদকের টাকা লেন দেনকে কেন্দ্র করে বিপ্লবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় মর্মে ১৬৪ ধারায় জবা স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিশ্বজিৎ অধিকারী জানান সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কচুয়া গ্রামের সুকুমার ঘোষের ছেলে মাদক ব্যবসায়ী বিপ্লব ঘোষের সাথে তেঁতুলিয়া গ্রামের মাদক বিক্রেতা সুরোত আলী ঢালীর স্ত্রী জবা খাতুনের সাথে সখ্যতা গড়ে ওঠে।
বিপ্লব হচ্ছে মাদকের ডিলার আর জবা হচ্ছে মাদক বিক্রেতা। মাদকের অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে টাকা পয়সা লেনদেন কে কেন্দ্র করে বিপ্লবের সাথে জবা সহ অনেকের মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। জবা এবং তার সহযোগীরা হত্যার ৩দিন আগে বিপ্লবকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন ২/৭/১৫ইং তারিখে জবা তার বাড়ীতে বিপ্লবকে ডেকে নেয়।
এদিন রাত ১০টার দিকে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে জবা ও তার সহযোগীরা বিপ্লবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ লুকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে নিহত বিপ্লবের পেট ফেড়ে কপোতাক্ষ নদে ফেলে দেয়। হত্যার ৩দিন পর পাইকগাছার থানা পুলিশ রাড়–লীস্থ কপোতাক্ষ নদ থেকে বিপ্লবের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বিপ্লবের মামা সৌমেন ঘোষ বাদী হয়ে জবা খাতুন, মাছুরা বেগম ও শহীদুল ইসলামকে আসামী করে পাইকগাছা থানায় হত্যা মামলা করে। মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর আসামী জবা খাতুন গত ১৮ জানুয়ারী আদালতে আত্মসমর্পন করে।
এ ব্যাপারে ওসি আশরাফ হোসেন জানান, জবা মঙ্গলবার আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে আরো যারা জড়িত আছে তাদের কে ও খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(24)