উল্লেখ্য সরকার ও সহযোগী দাতা সংস্থার বিভিন্ন পদক্ষেপে গত কয়েক বছরে প্রাথমিক পর্যায়ে ঝরে পড়ার হার কমে আসলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে অপরিবর্তীত রয়েছে এর হার। অনেকেই ধারণা করছেন, প্রতিবছর ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরে বিভিন্ন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি ও ফরম পূরণের চিত্র দেখলে বোঝা যায় ঝরে পড়ার হারের পরিসংখ্যানটা কেমন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে এবছর প্রায় ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফসিয়ার রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষে একাদশ শ্রেণীর মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১৫৫ ছাত্রী ভর্তি হয়, যার মধ্যে ১১৬ শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছে ঝরে পড়েছে ৩৯ শিক্ষার্থী। পাইকগাছা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মিহির বরণ মন্ডল জানান, বিজ্ঞান, বানিজ্য ও মানবিক শাখায় ৩১২ শিক্ষার্থী ভর্তি হয় যার মধ্যে ২২৯ জন ফরম পূরণ করেছে আর ঝরে পড়েছে ৮৩ শিক্ষার্থী।
প্রাচীনতম বিদ্যাপিঠ রাড়ুলী আর,কে,বি,কে হরিশ্চন্দ্র ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র ঘোষ জানান, চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কৃত ২৭৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ফরম পূরণ করেছে ২৫৫ এবং ঝরে পড়েছে ২১ শিক্ষার্থী। কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দিরের অধ্যক্ষ হরেকৃষ্ণ দাশ জানান, আর্থিক অস্বচ্ছলতা, অভিভাবকদের অসচেতনতা, শিক্ষার্থীদের অনিহা ও বিয়ে জনিত সমস্যা শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ।
এক্ষেত্রে সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন, শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায় মনোযোগী, অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি সহ অপ্রাপ্ত বয়সে ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেয়া বন্ধ করা সহ এ ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমে ঝরে পড়ার হার কমিয়ে আনা সম্ভব বলে শিক্ষকদের ধারণা।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(11)