বুধবার বিকালে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পানা (বর্তমান) গ্রামের মৃত অমূল্য হালদারের ছেলে ঠাকুর দাশ বলেন, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সরল মৌজায় আমাদের ৫০ শতক জমি রয়েছে। যাহা আমরা ১৯৪৬ সাল থেকে ক্রয় সূত্রে মালিকানা হিসাবে ভোগ দখল করে আসছি। কিন্তু ঐ জায়াগায় আমরা স্থায়ী ভাবে বসবাস না করায় জায়গার উপর বসতবাড়ী পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতো।
২০০১ সালে কে বা কাহারা বসতবাড়ীটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় ৫/৮/২০০১ ইং তারিখ থানায় জিডি করা হয়। যার নং ২২৩। এরপর উক্ত জায়গা দেখা শুনার জন্য প্রতিবেশী আজু গোলদারকে বর্গাদার হিসাবে দায়িত্ব দেই। এর দু’এক বছর পর আজু গোলদার আমাদের জমির উপর বাড়ী ঘর তৈরী করার চেষ্টা করলে আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে সে এবং তার ভাইপো আমিরুল আমাদের উপর চড়াও হয় ও মা’কে মারধর করে আমাদেরকে ভারতে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
যার ফলে জমি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের স্মরণাপন্ন হই। অনুরোধের এক পর্যায়ে এমপি পুত্র শেখ মুনরুল ইসলামের নামে গত ৪/১১/২০১৫ ইং তারিখ ৩৪৬৬/১৫ নং দলিল মুলে পাওয়ার নামা দেয়।
এরপর গত ২ জানুয়ারি এমপি সাহেব স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিশী বৈঠক করেন। বৈঠকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে আজু গোলদার জমি থেকে তার সকল মালামাল চলে যাবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় এবং সিদ্ধান্তমোতাবেক সে চলে যায়।
এদিকে এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে মঙ্গলবার আজু গোলদার এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমপি পুত্রকে জড়িয়ে মিথ্যা কাল্পনিক কাহিনী তুলে ধরেছেন। প্রকৃত জমির মালিক হিসাবে আজু গোলদারের এহেন কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ঠাকুর দাশ হালদার ও তার পরিবার।
উল্লেখ্য সরল গ্রামের মৃত মাদার গোলদারের ছেলে আজুবর ওরফে আজিজ গোলদার গত মঙ্গলবার খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(43)