সূত্রমতে, ২০১২ সালের ১২ অক্টোবর উপজেলার রাড়–লী ও গদাইপুর ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী কপোতাক্ষ নদের উপর বোয়ালিয়া নামক স্থানে নির্মানাধীন ব্রীজের ভিত্তি প্রস্তর উদ্ভোধন করেন তৎকালীন সংসদ সদস্য এ্যাড. সোহরাব আলী সানা। ৩১৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রীজটি নির্মান কাজে বরাদ্দ করা হয় ২১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
ব্রীজের দুই পাশে এপ্রোস ২০০ মিটার করে, প্রস্থ ৭ মিটার, রাস্তা ৫.৫ মিটার। ৯টি ইস্পানে ব্রীজটি নির্মিত হচ্ছে। প্রতিটি ইস্পান থেকে আরেকটির দুরত্ব ৩৫ মিটার। ইতোমধ্যে ৯টি ইস্পানের মধ্যে ৭টি নির্মান কাজ সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রানালয়ের আওতায় নির্মাণ কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মঈন বাশি ও ইসলাম ট্রেডার্স জয়েন্ট ভেনসার।
২০১৫ সালে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা থাকলেও ২টি ইস্পান সহ এখনো অনেক কাজ সম্পন্ন করতে বাকী রয়েছে। অনেকেই বলছেন নির্মাণ কাজ ধীর গতিতে চলার কারণে সম্পন্ন হতে বিলম্ব হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নির্মানাধীন ব্রীজের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ কাজী আব্দুল আওয়াল জানান, ব্রীজের ১টি গ্যাডার ও ২টি ইস্পানের স্লাভের নির্মাণ কাজ চলছে এপ্রোস রাস্তার পশ্চিম পাশের মাটির কাজ প্রায় ৮৫ ভাগ শেষ হয়েছে ও পূর্বপাশে ব্রীজের রাস্তার জন্য বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব হওয়ায় মাটির কাজ শুরু করা যায়নি, তবে আগামী ৩/৪ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, সড়ক পথে মালামাল বহনে ১০ চাকার ট্রাকের কড়াকড়ি আরোপ থাকায় ছোট যানবাহনে মালামাল বহন করতে সময় লাগছে। তাছাড়া ব্রীজ নির্মানের শুরুর পর রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করায় নির্মান কাজ অনেক ব্যাহত হয়েছে। উল্লেখ্য ব্রীজটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে বিশ্ব বরেণ্য বিজ্ঞানী স্যার পিসিরায়ের বসতবাড়ী সহ পাশ্ববর্তী জেলা সাতক্ষীরা ও প্রতিবেশীদেশ ভারতে সরাসরি যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(5)