তার মন মাতানো বাঁশির সুর পরিবেশন করার জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। মোঃ রফিকুল ইসলাম (৫৫) জন্ম গ্রহণ করেন উপজেলার কাশিম নগর গ্রামে। তার পিতার নাম আব্দুর রহমান সরদার। জন্ম কাশিম নগর হলেও শৈশব থেকেই পৌর সদরের বাতিখালী এলাকায় বসবাস করে আসছেন। ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে বড় রফিকুল।
অভাব অনটনের সংসারে প্রাথমিক পর্যায়ে ইতি টানতে হয় লেখা পড়া জীবন। সংসারের খরচ যোগাতে ছোট থেকেই ঝুকে পড়েন কাজে। ২০ বছর বয়সে তাকে আকৃষ্ট করে বাঁশির সুর। মামার বাড়ীর গাড়িয়ালদের বাঁশি বাজানো অনুকরণ করে পাতা দিয়ে বাঁশি বাজানোর চেষ্টা করে রফিকুল। আজ সে সফল একজন বংশিবাদক বলা যায়।
যে কোন গাছের পাতার সামান্য অংশ ঠোটের উপর দিয়েই বাঁশি বাজিয়ে থাকেন। আধুনিক, দেশাত্ববোধক, হিন্দীগান, রবিন্দ্র সংগীত সহ সব ধরণের গান মন মাতানো বাঁশির সুরে গেয়ে থাকেন। তবে নজরুল সংগীতের উপর বাঁশি বাজাতে বেশি পারদর্শী। এলাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের হাজার হাজার দর্শক শ্রোতাকে তিনি মন মাতানো বাঁশির সুরে মাতিয়ে তলেন। তার বাশি বাজানো ইতো মধ্যে খুলনা ভিশনেও প্রচারিত হয়েছে। এমনকি ৪ বছর আগে টিভিতে ইত্যাদির একটি অনুষ্ঠানে তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
কিন্তু দূর্ভাগ্য বশত প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে ইত্যাদির ঐ অনুষ্ঠানে তাকে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। এলাকায় তার যথেষ্ট সুনাম সু-খ্যাতি থাকলেও তার আক্ষেপ সে কোন দিন টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেনি। তার ইচ্ছে টিভির অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার মন মাতানো পাতার বাঁশির সুর সে দেশ বাসিকে উপহার দিতে চায়।
এ ব্যাপারে টিভি চ্যানেলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন রফিকুল ইসলাম। রফিকুল ২৫ বছর যাবত পান বিক্রেতার পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে পৌর বাজারের কপোতাক্ষ মার্কেটের নিচে তার ছোট্ট একটি পানের দোকান রয়েছে। পারিবারিক জীবনে ২ ছেলে ও ২ মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর রফিকুল দম্পত্তি সুখেই রয়েছেন।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(42)