পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ পাইকগাছায় মাদ্রাসা শিক্ষকের ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে কাজ করতে বাঁধা প্রদান করা সহ নানাভাবে হয়রানী করছে বলে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন ও থানা পুলিশের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী মাদ্রাসা শিক্ষক ও তার পরিবার।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার কালুয়া গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দীন সরদারের ছেলে আবুল কাশেম পেশায় একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। সামান্য বেতন ভাতায় যেখানে সংসার চালানো দায় সেখানে শিক্ষক আবুল কাশেম তার ৬টি ছেলে মেয়েকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার খরচ জোগাতে গিয়ে বসবাসের জন্য কোন বাড়ী কিংবা জায়গা কিনতে পারেন নি। অনেক কষ্টের মধ্যে ১৯/১২/২০১৮ সালে ৩৩১১/১৮ নং দানপত্র দলিল মূলে কমলাপুর মৌজায় বিআরএস ৮২৩/৮২৪ নং খতিয়ানে বিআরএস ৩৯৭ দাগে ১.৮৮ একর সম্পত্তির মধ্য থেকে আব্দুল হাকিম মোল্লা গংদের নিকট থেকে বসতবাড়ী নির্মাণ পূর্বক বসবাসের জন্য ০.২৫ একর জমি প্রাপ্ত হন শিক্ষক আবুল কাশেম। উক্ত দাগে হাকিম মোল্লা গংরা ০.৫০ একর জমির খরিদ মূলে মালিক ছিলেন।
আবুল কাশেম উক্ত জমির মধ্য হতে ২৫ শতক প্রাপ্ত হওয়ার পর জমির ভোগ দখলে থাকা হাড়িয়ার ডাঙ্গা গ্রামের মৃত আফসার সরদারের ছেলে আমান উল্লাহ খোকন জমির দখল বুঝে দিতে বিভিন্ন ধরণের তালবাহানা শুরু করে। কয়েক বছর তালবাহানা করারপর সম্প্রতি আমান উল্লাহ খোকন ও হাকিম মোল্লা গংদের নিকট থেকে ০.২৫ একর জমি প্রাপ্ত হয়। জমির দখল বুঝে পেতে শিক্ষক আবুল কাশেম এর পক্ষে ৩০/০৬/২০২০ তারিখ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করা হয়। বিষয়টি নিস্পত্তি করার জন্য চাঁদখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বরের ওপর ন্যাস্ত করা হয়। ইউপি মেম্বর সহ পরিষদ কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শিক্ষক আবুল কাশেম এর প্রাপ্ত জমি মেপে বুঝিয়ে দেয়। এরপর শিক্ষক কাশেম তার জমির সিমানায় বাঁধ দিয়ে টিনের বসতঘর নির্মাণ করার মাধ্যমে ভোগ দখলে থাকে।
এদিকে ভোগ দখলে থাকা সম্পত্তিতে কাজ করতে গেলে বিভিন্ন সময়ে বাঁধা প্রদান করে আসছে আমান উল্লাহ খোকন ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ফজলু করিম। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক আবুল কাশেমের পক্ষে প্রশাসনের স্মরণাপন্ন হলে আমান উল্লাহ খোকন তার প্রয়োজনীয় কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সর্বশেষ গত ১৭ ডিসেম্বর কয়েকজন শ্রমিক নিয়ে শিক্ষক আবুল কাশেম তার ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে কাজ করতে থাকলে আমান উল্লাহ খোকন থানায় অভিযোগ করার মাধ্যমে পুলিশ দিয়ে কাজ বন্ধ করার চেষ্টা করে। বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য থানা থেকে চাঁদখালী ইউনিয়ন পরিষদের ওপর দায়িত্ব অর্পন করে। বর্তমানে বিষয়টি ইউপি সদস্য আক্কাজ ঢালীর তত্বাবধায়নে রয়েছে বলে জানাগেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যানের দপ্তরে উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি নিরসন করা হবে বলে ইউপি সদস্য আক্কাজ ঢালী জানিয়েছেন। আমান উল্লাহ খোকনের হয়রানী থেকে রক্ষা পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে নিজের ভোগ দখলীয় সম্পত্তির ওপর যাতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে এ জন্য থানা পুলিশ ও প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষক আবুল কাশেম ও তার পরিবার।
(8)