পাইকগাছায় এক প্রসুতির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শাপলা ক্লিনিককে জড়িয়ে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে মৃতার পরিবারের পক্ষে সোনাতনকাটি গ্রামের সবুর গাজীর ছেলে বাবলু গাজী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার শ্যালক আমিরুল ইসলামের প্রসুতি স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে ডেলিভারীর জন্য গত ৯ আগস্ট পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ফাতেমা প্রসব বেদনায় ছটফট করতে থাকলে তার সুচিকিৎসার জন্য ডাঃ সুজন কুমারের নিকট আকুতি জানাই। হাই প্রেসার ও খিঁচুনীর কারণে রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় মা-সন্তানকে বাঁচানো সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি রোগীকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ধীরে ধীরে রোগীর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে খুলনায় যাওয়ার পরিবর্তে অনেক আকুতি-মিনতী করে উপজেলা সদরের নিকটতম শাপলা ক্লিনিকে ভর্তি করি। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ দক্ষতার সহিত সিজারিয়ান করলে ফাতেমা দুটি সন্তান হয়। মা সন্তান উভয়ই সুস্থ থাকলেও ৪ দিন পর ফাতেমার খিঁচুনী দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিজেদের উদ্যোগে তাকে খুলনায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। খুলনায় যাওয়ার পথে পথিমধ্যে ফাতেমার মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর জন্য ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। বরং তাদের সহযোগিতা না থাকলে মা-সন্তান উভয়কে হারাতে হতো। এদিকে মৃত্যুর কয়েক দিন পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা না পেয়ে একটি স্বার্থান্বেষীমহল মৃত্যুকে পুঁজি করে ক্লিনিক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে জড়িয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশসহ বিভিন্ন অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। আমাদের কোন অভিযোগ না থাকার পরও ষড়যন্ত্রকারীরা অপ্রপ্রচার ছড়িয়ে সর্বোচ্চ সেবাদানকারী শাপলা ক্লিনিকের সুনাম ক্ষুন্ন করায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শাপলা ক্লিনিকের পরিচালক তাপস মিস্ত্রী ও পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।