পাইকগাছায় ভালবেসে বিয়ে করে বিপাকে পড়েছেন বাক্কার ও সেলিনা নামের যুবক-যুবতী। বিয়ের ৩ মাসপর এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সেলিনাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বাক্কারের পরিবার। পুলিশ ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে আদালতে পাঠিয়েছে ভিকটিমকে। প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে উপজেলার রাড়–লী গ্রামের আরশাদ আলী মোড়লের বড় মেয়ে শাহিনা বেগমের সাথে বিয়ে হয় ধলাই গ্রামের জিন্নাত আলী গাজীর মেজো ছেলে মাহাবুব আলমের। আত্মীয়তার এ সুত্র ধরে মাহাবুবের ছোট ভাই বাক্কার গাজীর সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে শাহিনার ছোট বোন সেলিনা। বিষয়টি জানতে পেরে সেলিনার পিতা-মাতা তাকে একই এলাকার আরশাদ সানার ছেলে মিজানের সাথে পত্র করে। পত্র করা ছেলে মনোনিত না হওয়ায় গত ৬ জুলাই বাড়ী থেকে পালিয়ে গিয়ে বাক্কার গাজীর সাথে বিয়ে করে সেলিনা। পরে বাক্কারের পরিবার সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে সেলিনাকে তার পিতা-মাতার কাছে ফেরত দিতে চাইলে সে যেতে রাজি না হওয়ায় ফেরত নিতে ব্যার্থ হয় তার পিতা-মাতা। পরবর্তীতে নব-দম্পত্তি সাংসারিক কাজে মননিবেশ করলেও সেলিনার মাতা সালমা বেগম বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বাক্কার গাজী সহ ৩ জনকে আসামি করে মামলা করলে মামলাটি গত ২৫ আগষ্ট পাইকগাছা থানায় এজাহার হিসাবে গণ্য হয়। পুলিশ ইতোমধ্যে বাক্কারের মাতা জরিনা বেগমকে আটক করলে মামলার হয়রানী থেকে রক্ষা পেতে গত রোববার বাক্কারের পরিবার সেলিনাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ব্যাপারে সেলিনার বড় বোন শাহিনা জানান, বর্তমান এ পরিস্থিতির জন্য আমার পিতা-মাতাই দায়ি। বিশেষ করে মা সালমা বেগম সেলিনাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যেখানে বিয়ে দেয় সেখানে নির্যাতন সইতে না পেরে দেবর বাক্কারের সাথে বিয়ে করতে বাধ্য হয়। আমাদের দু’বোনের সুখের সংসার বিনষ্ট করতেই এ হয়রানি মূলক মামলা করা হয়েছে এবং এতে সেলিনা ও বাক্কারের কোন দোষ নেই বলে শাহিনা জানান। প্রেম করে বিয়ে করার বিষয়টি সেলিনা স্বীকার করেছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু সাঈদ জানান। সোমবার ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে ভিকটিমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি আশরাফ হোসেন জানান। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আবু বক্কারের পরিবার।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(14)