পাইকগাছায় গত এক সপ্তাহের প্রচন্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জন জীবন। বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা।
চরম দূর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। বৃদ্ধি পেয়েছে ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ। এতে আক্রান্ত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে গত কয়েকদিনে শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া সহ প্রায় ২ গুণ শিশু আক্রান্ত হয়েছে ঠান্ডা জনিত রোগে।
হাসপাতাল গুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে এ ধরণের রোগীর সংখ্যা। সূত্রমতে এলাকার সাধারণ মানুষ পৌষের শীত তেমন একটা অনুভব করেনি। তবে মাঘের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে গত বুধবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পর থেকে এলাকায় জেঁকে বসেছে শীত। শীতের সাথে সাথে সত্যপ্রবাহ ও বাতাসের প্রচন্ড দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জন জীবন।
ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসের কারণে সকালে ঘর থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার সন্ধ্যার আগেই ফিরতে হচ্ছে ঘরে। এতে সবচেয়ে বিপাকে রয়েছেন খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবি মানুষ। বান্দিকাটী গ্রামের ইউনুছ গোলদার জানান, প্রতিদিন দিন মজুরের কাজ করেই সংসার চালাতে হয়।
গত এক সপ্তাহ যে পরিমাণে শীত পড়ছে তাতে ক্ষেত খামার কিংবা মাঠে ঘাটে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ভ্যান চালক আমির আলী জানান, বেলা বাড়ার পর কিছুটা যাত্রী মিললেও সকাল ও সন্ধ্যার পর রাস্তায় তেমন কোন যাত্রী মেলেনা।
প্রচন্ড শীতের কারণে গত কয়েকদিন মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে সাধারণ মানুষের দৈনন্দীন স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। পাশা-পাশি বৃদ্ধি পেয়েছে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, জ্বর, স্বর্দি-কাশি সহ ঠান্ডা জনিত রোগের প্রকোপ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার ডাঃ মিঠুন দেবনাথ জানান, প্রচন্ড শীতে গত কয়েকদিনে অন্যান্য সময়ের চেয়ে প্রায় ২ গুণ বেশী শিশু ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
প্রতিদিন হাসপাতালে আসা শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। যাদের মধ্যে অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অনেকেই হচ্ছে ভর্তি। হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় ভর্তিকৃতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা অবনতি হওয়ায় তাদেরকে সাতক্ষীরা কিংবা খুলনায় পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালে প্রায় ২০ জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে ডাঃ মিঠুন দেবনাথ জানান।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(6)