সংগ্রহ শেষে ৫১ হাজার মেট্রিক টন (চাল) উৎপাদন দাড়িয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছে। অনুকূল আবহাওয়া, সময়মত উপকরণ ব্যবহার, পরামর্শ প্রদান ও কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন বেড়েছে এবং চলতি বছর স্থানীয় চাহিদা পূরণ করার পরও ৭ হাজার মেট্রিক টন খাদ্য উৎবিত্ত থাকবে বলে দাবী করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
তবে প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও চিংড়ী ঘেরের হাজার হাজার বিঘা জমি পতিত ছিল যেখানে ধান চাষ বাধ্যতা মূলক করা হলে উৎপাদন কয়েকগুন বৃদ্ধি পেতো বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। উল্লেখ্য উপজেলায় মোট কৃষি জমির পরিমাণ ৩০ হাজার হেক্টর। যার মধ্যে চলতি মৌসুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১৬ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে আমন ফসল আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে।
এদিকে চলতি বছর ১৬ হাজার ৯শ ৩০ হেক্টর জমিতে বিআর-২৩, ব্রিধান-৫২, ব্রিধান-৬২, বিনা-৭, ব্রিধান-৪৯, ব্রিধান-৩০, ব্রিধান-৩৩, ব্রিধান-১১ ও ব্রিধান-১০ সহ বিভিন্ন উন্নত জাতের আমন ফসলের আবাদ হয়। ইতোমধ্যে প্রায় শতভাগ ফসল কৃষকরা ঘরে তুলেছেন। উৎপাদনে সন্তুষ্ঠ হলেও ন্যায্য মূল্য নিয়ে কৃষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বান্দিকাটি আইপিএম কৃষি ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জানান, এবছর হেক্টর প্রতি সাড়ে ৪ মেক্ট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। যা অন্য বছরের চেয়ে অনেক ভাল। তবে বর্তমানে ধানের প্রতিমন বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। ফলে উৎপাদন খরচ এবং বিক্রয় মূল্য সমান হওয়ায় লাভ থাকবেনা বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, এবছর বৃষ্টির ভাগ বেশী হওয়ায় উঁচু জমিতেও আবাদ হয়েছে, আবার পানি নিস্কাষণ ব্যবস্থা সুগম থাকায় নিচু জমিরও ফসল ভাল হয়েছে। এক কথায় অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ, সুষম উপকরণ প্রয়োগ ও পরামর্শ দেয়ার মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবছর উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, চলতি বছর ১৬ হাজার ৫শ হেক্টর জমি লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ৯শ ৩০ হেক্টর। উৎপাদন হয়েছে ৫১ হাজার মেক্ট্রিক টন। আমন বোরো ও আউশ মিলিয়েই উপজেলায় মোট খাদ্য চাহিদা রয়েছে ৪৯ হাজার মেক্ট্রিক টন।
এক্ষেত্রে আমনের যে উৎপাদন হয়েছে তাতে এলাকার চাহিদা পূরণ করেও উৎবিত্ত থাকবে ৭ হাজার মেক্ট্রিক টন।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(5)