উঠতি বয়সের এ ধরণের কিছু নেতা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে বর্তমান ও সাবেক এমপি সহ প্রবীন নেতৃবৃন্দকে হেয় প্রতিপন্ন করছেন বলে অভিযোগ দলীয় নেতৃবৃন্দ।
সম্প্রতি কথিত একটি অনলাইনে বর্তমান ও সাবেক এমপিকে জড়িয়ে কুরুচি পূর্ণ সংবাদ প্রকাশিত হয়, যা দেখে হতবাক হয়েছেন দলের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের রাজনীতি এখনো নির্ভর করে প্রবীন কিছু নেতৃবৃন্দের উপর। যার মধ্যে বর্তমান এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক, সাবেক এমপি এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা, উপজেলা আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী ও সদস্য সচিব মোঃ রশিদুজ্জামান অন্যতম।
কারণ তৃণমূল পর্র্যায়ে এ সকল নেতৃবৃন্দের রয়েছে যথেষ্ট গ্রহণ যোগ্যতা। গ্রহণ যোগ্যতার তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন বর্তমান এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক। তিনি এবং তার পরিবার দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে মিশে রয়েছেন। ইতো পূর্বে ১৯৯৬ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের জোয়ার বয়ে দেন নির্বাচিত এলাকায়।
৯৬-০১ মেয়াদ কালে ৫ বছরের অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য আধুনিক পাইকগাছা কয়রা গড়ার রূপকার হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন এমপি নূরুল হক। তিনি ৯১ এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হলেও ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বচিত হন। এছাড়াও জন প্রতিনিধি নির্বাচিত না হলেও দলীয় কর্মকান্ডে গাজী মোহাম্মদ আলীর রয়েছে যথেষ্ট ভূমিকা।
এসকল নেতৃবৃন্দের উপর নির্ভর করে দলীয় সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। অথচ উঠতি বয়সের কিছু নেতা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। অভিযোগ উঠেছে কেউ কেউ সিনিয়র এ সকল নেতাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন।
সাম্প্রতিক কথিত একটি অনলাইনে বর্তমান ও সাবেক এমপিকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ একটি সংবাদ প্রকাশের পর হতবাক হয়েছেন দলীয় নেতৃবৃন্দ। আ’লীগনেতা এ্যাডঃ ইদ্রিসুর রহমান মন্টু জানান, সম্প্রতি একটি অনলাইনে এ ধরণের একটি নিউজ প্রকাশিত হয়েছে যেখানে বর্তমান এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হক তার ছেলে ও পরিবার এবং সাবেক এমপি এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানাকে চরম ভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।
অথচ একই নিউজে তরুণ এক নেতাকে যে ভাবে হাই লাইট করা হয়েছে তাতে বর্তমান সাবেক এমপি সহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। এ ধরণের অপতৎপরতা দলকে বিভাজন, দলের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি ও সরকার এবং দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার সামিল উল্লেখ করে এ ধরণের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সজাগ থেকে অপতৎপরতা প্রতিহত করতে দলীয় উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন দলীয় অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(108)