জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পূর্ব পাশেই ফারিন হস্পিটাল নামে একটি ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু ধরে জটিল জটিল রোগীদের অপারেশনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্লিনিকে অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিংবা সার্বক্ষণিক ডাক্তার, নার্সদের ব্যবস্থা না থাকলেও কর্তৃপক্ষ দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে জমজমাট ক্লিনিক ব্যবসা। অপরদিকে হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার, নার্সদের সহযোগিতায় ভর্তিকৃত রোগীদের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। বন্ধন ব্লাড ডোনার ক্লাবের সভাপতি জামিলুর রহমান রানা জানান, আমার নিকট আত্মীয় কাশিমনগর গ্রামের বাবুর সন্তান সম্ভাবা স্ত্রী তাছলিমাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে অপারেশন করা সম্ভব নয় বলে ডাক্তার সুজন কুমার রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বুধবার ভোর রাতে নার্স সুলতা ও হামিদা রোগীকে জোরপূর্বক ফারিন হস্পিটালে পাঠিয়ে দেয়। এদিন সকালে সেই সুজন ডাক্তারই রোগীকে অপারেশন করে। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের জোকসাজসে হাসপাতালের কতিপয় ডাক্তার, নার্সরা এ ধরণের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে এ ধরণের একটি অভিযোগ শুনেছি বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ সাফিকুল ইসলাম শিকদার জানান। ফারিন হস্পিটালের স্বত্ত্বাধিকারী খায়রুল আলম জানান, হসপিটালের সমস্ত কাগজপত্র খুলনায় এবং ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। কোন রেজিষ্ট্রেশন নম্বর পড়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রেজিষ্ট্রেশন নম্বর পেতে বিলম্ব হয় উল্লেখ করে বুধবার সকালের অপারেশন ডাক্তার সুজন কুমার করেছেন বলে স্বীকার করেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবিরউদ্দীন জানান।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(5)