তাও আবার অধিকাংশ পদ শূন্য থাকায় সেবা দিতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ৫০ শয্যায় উন্নীত করণের পর হতে গত ৬ বছর জনবল সংকটের এ অবস্থা বিরাজমান রয়েছে।
উল্লেখ্য ১৯৯৭ সালের ২২ অক্টোবর উপজেলা সদরের প্রাণ কেন্দ্রেই নব নির্মিত ভবনে ৩১ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যাত্রা শুরু হয়। জন বহুল এ উপজেলায় সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ২০০৯ সালের ২ ডিসেম্বর ৩১ শয্যার হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেন।
কিন্তু দুঃখের বিষয় শুধুমাত্র খাতা কলম কিংবা ফাইল পত্রেই সিমাবদ্ধ রয়েছে ৫০ শয্যার ব্যবস্থা। উন্নতি করণের গত ৬ বছরেও বৃদ্ধি করা হয়নি জনবল। ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে চলছে বর্তমানের কার্যক্রম।
তাও আবার ৩১ শয্যার জন্য যে জনবল প্রয়োজন রয়েছে তার অর্ধেক। হাসপাতাল সূত্রমতে ৫০ শয্যার হাসপাতালের জন্য যেখানে ২২ জন ডাক্তারের প্রয়োজন সেখানে কর্মরত রয়েছে ৬ জন, ১৬জন নার্সের স্থলে ৭ জন কর্মরত, ১২৬জন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর স্থলে ৭৪জন কর্মরত, ২৭জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর স্থলে কর্মরত ১০ জন কর্মচারী। এছাড়াও প্রেসনে রয়েছেন অনেক ডাক্তার যাদের মধ্যে গাইনি ও ডেন্টাল ডাক্তার ও রয়েছেন। এদিকে বর্তমানে উপজেলায় ৩ লাখের ও অধিক জনসংখ্যার বসবাস।
বিপুল পরিমান এ জনসংখ্যার স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র মাধ্যম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কাংখিত সেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। বয়ারঝাপা গ্রামের ইমদাদুল হক জানান, কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর বহিঃ বিভাগের ডাক্তারদের দেখা মেলে। অপরদিকে ভর্তিকৃত রমেছা বেগম জানান, ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২ বারের বেশী ডাক্তারদের নাগাল পাওয়া যায় না। এভাবেই হাসপাতালে আসা রোগীরা প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন কাংখিত সেবা থেকে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানান, হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও দীর্ঘদিনেও জনবলের প্রশাসনিক অনুমোদন পায়নি। ৫০ শয্যার জন্য শুধুমাত্র খাদ্য সহায়তা ছাড়া আর কোনো সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়না। ফলে চরম জনবল সংকটের মধ্যদিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টায় হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবার মান অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনকে ভাল।
বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের প্রসুতিদের সেবায় হাসপাতালটি দীর্ঘদিন বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় বর্তমানে হাসপাতালে গাইনি বিশেষজ্ঞ কোন ডাক্তার নাই। ২জন থাকলেও তারা প্রেসনে অন্যত্র কর্মরত রয়েছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও প্রসুতিসেবা নিশ্চিত করতে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সহ জনবল বৃদ্ধি করা জরুরী হয়ে পড়েছে। আর এটা সম্ভব হলে সেবার মান কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে ডাঃ প্রভাত কুমার দাশ জানান।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(16)