এদিকে নির্বাচনে প্রতীকের পাশা-পাশি গুরুত্ব পেয়েছে প্রার্থীদের ব্যক্তি ইমেজ। আর এদুটো কারণেই প্রচার-প্রচারণা শেষে ৩ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে জামায়াত-বিএনপি’র দু’প্রার্থীর চেয়ে আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বলে ধারণা করছেন পৌরবাসী।
বিগত ৩টি নির্বাচনের ন্যায় এবারের নির্বাচনে ও আওয়ামীলীগের সেলিম জাহাঙ্গীর পূণরায় নির্বাচিত হতে চলেছেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মেয়র প্রার্থী, দলীয় নেতাকর্মী সহ সাধারণ ভোটাররা।
উল্লেখ্য ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারী উপজেলা সদরের আংশিক এলাকানিয়ে গঠিত হয় জেলার প্রথম পাইকগাছা পৌরসভা। পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রে বর্তমানে মোট ভোটার ১২৬৮৫। যার মধ্যে মহিলা ৬৩৭০ ও পুরুষ ৬৩১৫। এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বর্তমান মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর (নৌকা), বিএনপি’র এ্যাডঃ জিএম আব্দুস সাত্তার (ধানের শীষ) ও জামায়াতের স্বতন্ত্র এ্যাডঃ আব্দুল মজিদ (নারিকেল গাছ) প্রতীকনিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। তফসিল ঘোষনার পর বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে জম-জমাট প্রচারণা লক্ষ করা গেলেও শেষ মূহুর্তে ভোটের দিক দিয়ে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে এ্যাডঃ জিএম আব্দুস সাত্তার।
তবে নির্বাচন সুষ্ঠ হলে জয়ের ব্যাপারে তিনি অনেকটাই আশাবাদি বলে মন্তব্য করেছেন। অপরদিকে নিরবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে গেছেন জামায়াতের এ্যাডঃ আব্দুল মজিদ। তিনিও জয়ের ব্যাপারে জোরালো আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে দলীয় প্রতীকের এ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের এ দু’প্রার্থী কেউ কাউকে ছাড় না দেয়ায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী।
এ প্রসঙ্গে মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, বিগত ৫ বছরে (গ) শ্রেণীর পৌরসভাকে (খ) শ্রেণীতে উন্নতি করণ সহ অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। ইতোমধ্যে অসংখ্য পেশাজীবি সংগঠন নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে সমর্থন করেছে। তিনি ৯টি কেন্দ্রেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আ’লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী ও সদস্য সচিব শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, নির্বাচনে মিথ্যাচার ও বহিরাগতদের সমবেত করে সুবিধাজনক অবস্থানে আসতে পারেনি বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী।
সরকারের গৃহীত পৌরসভার চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বিগত নির্বাচন গুলির ন্যায় এবারের নির্বাচনেও আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়যুক্ত হবেন বলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এ দু’নেতা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৪ ও দুটি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। এর আগে সংরক্ষিত ৪,৫,৬ থেকে একক প্রার্থী হিসাবে কবিতা দাশ বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হন।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(4)