আসন্ন পাইকগাছা পৌরসভা নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের তেমন কোন নেতাকর্মীকে দেখা যাচ্ছে না। অপরদিকে বিএনপি জামায়াত মনোনিত প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় জোরে-সোরে আটঘাট বেঁধে নেমে পড়েছেন দলীয় নেতাকর্মী ও কর্মী সমর্থকরা। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগের বর্তমান মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর নৌকা বিএনপির এ্যাডঃ জিএম আব্দুস সাত্তার, ধানের শীষ প্রতীকে এবং জামায়াতের এ্যাডঃ আব্দুল মজিদ (সতন্ত্র) প্রার্র্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন।
গত ৯ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার পরথেকে বিএনপি ও জামায়াতের দলীয় কর্মী সমর্থকরা স্ব স্ব প্রার্থীর পক্ষে জোরালো ভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদ্বন্দী ৩ প্রার্থীর মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করার পরও দলীয় নেতা কর্মীদের নিস্ক্রীয়তা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে আ’লীগ মনোনিত প্রার্থী মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের। এখনো পর্যন্ত দলের তেমন কোন নেতাকর্মীকে প্রচার-প্রচারণায় দেখা যায়নি। এমনকি মনোনয়ন বঞ্চিত দু’প্রার্থীকেও প্রচার-প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে মনোনয়ন বঞ্চিতদের কেউ কেউ বর্তমান মেয়রের বিরুদ্ধে কৌশলগত অবস্থান নিয়েছেন। এদিকে নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য দলের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে নির্দেশনাদেন দলের জেলার দায়িত্বশীল নেতারা। তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবী শুধু নির্দেশনা নয় মাঠ পর্যায়ে সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা তদারকী করতে হবে। আর সেটা সম্ভব হলে আবারো বিশাল ব্যবধানে সেলিম জাহাঙ্গীর মেয়র নির্বাচিত হবেন বলে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(7)