বৃদ্ধি করা হয়েছে নাগরিক সেবা। যার সিংহ ভাগ উন্নয়ন হয়েছে বিগত ৫ বছরে। উন্নয়নের পাশা-পাশি একই সময়ে সুপেয় পানির আওতায় আনা হয়েছে ১০ হাজার জনগোষ্টিকে। মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে বিগত পরিষদে এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
যার প্রতিদান সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে পৌরবাসী দিয়েছেন বলে মনে করা হয়। উদারণ সরুপ বলা যায় মেয়র থেকে শুরু করে বিগত পরিষদের যে কয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেছেন শতভাগ প্রার্থীই জয়লাভ করেছেন।
উল্লেখ্য ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্র“য়ারী বর্তমান এমপি এ্যাডঃ শেখ মোঃ নূরুল হকের প্রচেষ্টায় তৎকালীন সদর ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরের আংশিক এলাকা নিয়ে জেলার প্রথম পৌরসভা হিসাবে পাইকগাছা পৌরসভা গঠিত হয়। প্রথম ১৫ বছরে উন্নয়নে পিছিয়ে থাকে পৌরসভাটি। মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে বিগত পরিষদ গত ৫ বছরে (গ) শ্রেণীর পৌরসভাকে (খ) শ্রেণীতে উন্নতি করণ সহ অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন। পৌরবাসীর পাশা-পাশি যা দৃষ্টি কেড়েছে প্রশাসনের উর্দ্বতন কর্মকর্তারা। গতবছর পৌরসভার একটি অনুষ্ঠানে আসেন বর্তমান খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রালয়ের যুগ্ম-সচিব।
তারা অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি পৌরসভায় মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের মত দক্ষ মেয়র থাকলে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র পাল্টে যেত। বিগত ৫ বছরে যেমন পাল্টে গেছে উন্নয়নের চিত্র, তেমন বৃদ্ধি করা হয়েছে নাগরিক সেবা। বিশেষ করে লবণ অধ্যুষিত পৌর এলাকায় প্রায় ১০ হাজার জনগোষ্টিকে আনা হয়েছে সুপেয় পানির আওতায়।
পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, ওয়াটার এইড, নবলোক ও পৌরসভা যৌথভাবে ২০১৩ সালে পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পের আওতায় সরল দীঘির পাড়ে ১ লাখ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন রিজার্ভ ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ৩৪ কিঃমিঃ বসানো হয়েছে পাইপ।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৩শ ও অধিক সংযোগ দেয়া হয়েছে যার মাধ্যমে ১২শ পরিবার ও ১০ হাজার জনগোষ্টিকে সুপেয় পানি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২৯টি কমিউনিটি ওয়াটার পয়েন্টের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে দরিদ্র জনগোষ্টিকে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। করা হয়েছে ১২৯টি পরিবার ভিত্তিক রেইন ওয়াটার হারভেষ্টিং সিষ্টেম ও প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক ৪টি।
বর্তমানে সরবরাহকৃত পানির মান বৃদ্ধি করতে ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে স্থাপন করা হচ্ছে আয়রন রিমুভাল প্লান্ট। পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, পৌরসভার কোন এলাকায় সুপেয় পানির উৎস না থাকায় উন্নয়নের পাশা-পাশি পৌরবাসীর সুপেয় পানির নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অর্ধেক জনগোষ্টির সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।
আশা করছি আগামী ২/১ বছরের মধ্যে শতভাগ জনগোষ্টির সুপেয় পানি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
-মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা
(45)