শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে ভিকটিম সবুরের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সবুর বলেন, এলাকার সমাজপতি শাহ আলম (৫৫) আমার ছোট বোনকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সে বোন অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আমাকে ছোট বোনের ধর্ষক সাজিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারের পর থানার ওসি হুমায়ন কবির ও এসআই মুজিবুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো.আলী শাহর সহযোগিতায় আমাকে থানায় মারধর ও ইকেট্রিকের শর্ট দিয়ে বোনকে ধর্ষ করেছি মর্মে স্বীকারোক্তি আদায় করে।
আমার মাকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্য অভিযোগ করান। মা বিষয়টি বুঝতে পেরে ধর্ষক শাহ আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় আমি বিনা অপরাধে দীর্ঘ ৫মাস ২৫ দিন কারাগারে ছিলাম। আমি ও আমার পরিবার এঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যসহ সকলের শাস্তি দাবি করছি। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১০ মে রাঙ্গুনয়িার শিলক ইউনিয়নে ১২ বছর বয়সী সফুরের বোনের ৫৫ বছর বয়সী কথিত সমাজপতি শাহ আলম নামের এক ধর্ষককে বাঁচাতে প্রকৃত বয়স লুকিয়ে বোনের ধর্ষণকারী বানিয়ে মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠানো হয় ১৪ বছর বয়সী সফুরকে। প্রকৃত আসামিকে আড়াল করে পুলিশ মিথ্যা এজাহার দাখিলের মাধ্যমে আপন বোনের ধর্ষক সাজিয়েছে কিশোর সফুরকে।
তার কাছ থেকে জোরপূর্বক ১৬৪ ধারার জবানবন্দি আদায়ও করেছে। ফলে আদালতকে প্রভাবিত করে গত ১০ মে থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার জেলহাজতের পাঠানো হয়েছে কিশোর সফুরকে।
আপন ছোট বোনকে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে জেলে যাওয়ার ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর উচ্চ আদালতে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মূল অভিযুক্ত শাহ আলমকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। একইসঙ্গে মিথ্যা এই মামলাটি কেন বেআইনি হবে না এ বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গত রোববার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল-২ এর বিচারক মো. সেলিম মিয়া সফুরের জামিন মঞ্জুর করলে সে কারাগার থেকে বের হয়ে আসে।
(2)