খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধিঃ নগরীর খানজাহান আলী থানাধিন যোগিপোল ৪নং ওয়ার্ডের ফুলবাড়ীগেটে কোর্ট পুলিশ সদস্য শাকিল আহম্মেদের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী মাহমুদা খাতুন টুম্পা(৩০) ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
১৪ অক্টোবর শুক্রবার রাতে পুলিশ সদস্য শাকিল আহম্মেদ বাসায় ফিরে টুম্পাকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে রুমে প্রবেশ করে তাকে সিলিং ফ্যানে ফাঁস দিয়ে ঝুলতে দেখে। আজ শনিবার টুম্পার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হলে জানাযা শেষে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, খুলনা সিএমএম কোর্টের পুলিশ সদস্য শাকিল আহম্মেদ তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে খানজাহান আলী থানাধিন যোগিপোল ৪নং ওয়াডের ফুলবাড়ীগেট কর্মকারপাড়ায় স্বপ্নীল কটেজের স্বপন কুমার রাহার ৫তালা বাড়ীর ৪র্থ তলার ফ্লার্টে ভাড়া থাকতেন । শুক্রবার সকালে শাকিল আহম্মেদের সাথে তার স্ত্রী মাহমুদা খাতুন টুম্পার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুনতে পায় প্রতিবেশিরা। পরে পৌনে ১টার দিকে পুলিশ সদস্য শাকিল আহম্মেদ আদালতের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। টুম্পার স্বামী পুলিশ সদস্য শাকিল জানায়, রাত ৯টায় তিনি বাসায় ফিরে ঘরের দরজা দেওয়া দেখে তার সন্তানদের ডাকাডাকি করে। মেয়ে সোনালী ও ছেলে সিফাতের কক্ষের দরজার হ্যাজবোল্ড দিয়ে আটকানো ছিল। ডাকাডাকি করে টুম্পার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে খানজাহান আলী থানা পুলিশকে খবর দেই। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় টুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে। আজ ১৫ অক্টোবর শনিবার টুম্পার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্থান্তর করে।
টুম্পার ভাই মো. সাজ্জাদুর রহমান পারিবারিক কলহের কথা স্বীকার করে বলেন তার বোন মানসিক কারণে হোক আর যে কারণে হোক আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে কারো বিরুদ্ধে কোন তাদের কোন অভিযোগ নেই। তিনি জানান শনিবার আছরবাদ মহেশ্বপাশা সাহাপাড়া বায়তুল্লাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে মহেশ্বরপাশা সরকারি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। টুম্পার আত্মহত্যার সময় পরনের কাপুড় এবং শারিরিক অবস্থা দেখে এলাকাবাসীর মধ্যে তার মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে।
এ বিষয়ে খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন খান জানিয়েছেন প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা যাচ্ছে টুম্পা আত্মহত্যা করতে পারে। তবে কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছে তা তিনি জানাতে পারিনি। এ ব্যাপারে খানজাহান আলী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
(9)